এস এম আরিফ:
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে, ১ ম্যাচ হাতে রেখেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে টাইগারদের প্রতিপক্ষ এই ক্যারিবিয়ানরাই।
ডাবলিনে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে উইন্ডিজ বাহিনী। জবাবে সৌম্য-মুশফিকদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের সেরা একাদশ নির্বাচনে ত্রিদেশীয় সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ টাইগারদের জন্য; ব্যাটসম্যানরা ইতিমধ্যে নিজেদের প্রমাণ করেছেন; চিন্তাটা বোলিংয়ে’ নিজের ধারায় ফিরতে পারছিলেন না মুস্তাফিজ; তার উপর আবু জাহেদ রাহীর বদলে তাসকিনকে বিশ্বকাপ দলে নেয়ার গুঞ্জণ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে দলে পরিবর্তন, সাইফুদ্দিনকে রেখে চেখে দেখা হলো আবু জায়েদ রাহীকে। তবে নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি টাইগার পেসার।
টস জিতে ব্যাটিং নেয়া ক্যারিবিয়ানরা ভাল শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলো; যদিও মাশরাফি-ফিজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা।
দলীয় শতকের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপাকে, তখন ৫ম উইকেটে অধিনায়ক হোল্ডারকে নিয়ে শেই হোপ গড়লেন শত রানের জুটি।
দলীয় ২শ পার করতেই মাশরাফি আটকালেন এই দুই ব্যাটসম্যানকে। থমকে গেলো ক্যারিবিয়ানদের রানের গড়ও।
আগের ম্যাচে হতাশ করা মুস্তাফিজ এই ম্যাচে স্বরুপে; ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভালো বল করেছেন দুই স্পিনার সাকিব ও মিরাজ। ৯ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থামে ২৪৭ রানে।
কেবল প্রস্তুতি নয়, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জয়টাও চাই বাংলাদেশের। তামিম-সৌম্যের শুরুটা গত ম্যাচের থেকে একটু খারাপই হলো। ডাউন দা উইকেটে খেলতে গিয়ে ব্যাক্তিগত ২১ রানে ফিরলেন তামিম।
অবশ্য সৌম্যর অর্ধ-শতক, সাকিব-মিথুনদের মাঝারি ইনিংস ম্যাচের দখল হারাতে দেয়নি টাইগারদের।
ওয়ানডেতে ৩৩তম অর্ধ-শতক তুলে নেন মুশফিক; পাশাপাশি, নিজেকে ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগও মিলেছে মাহমুদুল্লাহর। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে মুশফিক যখন সাজঘরে, ততক্ষণে জয়ের তরী ডাঙ্গা ছুই ছুই।
অপরাজিত সাব্বির বাদে, ইনিংসে ডাবল ডিজিট পার করেন সবাই। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাক-টু-ব্যাক জয়টা ৫ উইকেটের।