মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলিদের মতো তারকারা নেই। তবে তাতে কী শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় নিদাহাস ট্রফির ঔজ্জ্বল্য কিন্তু ম্লান হওয়ার নয়। সৌজন্যে অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সেই ‘নাগিন ডান্স’।
সিরিজ চলাকালীনই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। আর সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কম ‘ট্রোলড’ হতে হয়নি।
আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে ২ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর একই ঘটনা ঘটিয়েছে গোটা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলই। আর সেই নিয়েও ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ার নজর কেড়েছেন বেঙ্গল টাইগাররা।
তবে এবার আর একা মুশফিকুর নন, গোটা বাংলাদেশই দলের খেলোয়াড় দিয়ে চলছে ‘ট্রোল’। কেউ লিখছেন, বিয়েতে নাচার জন্য কাউকে দরকার হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
আবার একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের উচিত নিজেদের নামের জায়গায় বাঘের পরিবর্তে সাপ লেখা। অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, এরা আসলে ক্রিকেটের কেজরিওয়াল।
সময়ের আগে এবং যোগ্যতার থেকে বেশি কিছু পেয়ে গেলে যাঁরা কী করবে কিছুই ভেবে পায় না। এছাড়া আরেকজন লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত এই নাগিন ডান্সকেই নিজেদের জাতীয় নাচ ঘোষণা করে দেওয়া।
এদিকে, এই ম্যাচ চলাকালীন দু’দলের ক্রিকেটাররা বচসায় জড়ান। বাংলাদেশের ইনিংসের সময় মুস্তাফিজুর এবং মাহমদুল্লাহ তখন ক্রিজে। শেষ ওভারে ইসুরু উদানার পরপর দু’টি বল অধিক উচ্চতা দিয়ে বেরিয়ে গেলেও আম্পায়ার নো’বল দেননি। আর সেকারণেই রেগে যান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
এর মধ্যে দ্বিতীয় বলটিতে আবার রানআউট হয়েছিলেন একজন। কিন্তু এরপরই দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসান–সহ অন্যান্য খেলোয়াড়রা রেগে গিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় জড়ান।
দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরত আসতেও ইঙ্গিত করেন সাকিব। শেষপর্যন্ত অবশ্য ম্যাচটি খেলা হয় এবং দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ৷ দু’টি ছয় ও তিনটি বাউন্ডারি মেরে ১৮ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি৷
এদিকে, ম্যাচের পরে আনন্দ করতে গিয়ে ড্রেসিংরুমের কাচ ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উপরে। যদিও তাঁরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।