শারমিন আজাদ :
হোটেল রেস্তোঁরায় মোবাইল কোর্টের অভিযান, তারপর জরিমানা, সবই ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ সরকারি নজরদারি কর্তৃপক্ষের। তারা বলছেন, একবার সর্বোচ্চ জরিমানার পর গিয়েও অবস্থার উন্নতি খুঁজে পাওয়া যায় না রেস্তোরাগুলাতে। ক্রেতাদের দাবি, অব্যাহত থাকুক রেস্তোঁরায় অভিযান ও আইনের প্রয়োগ। রিপোর্ট করছেন শারমিন আজাদ।
হোটেল রেস্তোঁরায় মোবাইল কোর্টের অভিযান, তারপর জরিমানা, সবই ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ সরকারি নজরদারি কর্তৃপক্ষের। তারা বলছেন, একবার সর্বোচ্চ জরিমানার পর গিয়েও অবস্থার উন্নতি খুঁজে পাওয়া যায় না হোটেলগুলোতে।
তবে রেস্তোঁরা মালিকদের পাল্টা অভিযোগ, বাংলাদেশে এর চেয়ে বেশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আশা করা সম্ভব না।
ভেজালে সয়লাব রাজধানীর অধিকাংশ হোটেল। হোটেল-রেস্তোঁরায় মোবাইল কোর্টের অভিযান নিয়মিতই চলছে। কিন্তু খাদ্যে ভেজাল দেয়ার প্রবণতা কমছেনা বলে স্বীকার করলেন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কর্মকর্তারা।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং খাবার পরিবেশনের সময় গ্লাভস কিংবা মাস্কের ব্যবহার না করায় কিছুদিন আগে যেই রেস্তোঁরায় মোবাইল কোর্টের অভিযান ও জরিমানা করা হয়েছিলো। অভিযানের পর গিয়ে দেখা যায় অবস্থা আগের মতোই আছে।
সরেজমিনে মানহীন পরিবেশের প্রমাণ পাওয়ার পরও মোবাইল কোর্টের অভিযানকে সঠিক মনে করছেন না হোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে পরিস্থিতি উত্তোরণে ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা রয়েছে বলে জানালেন হোটেল মালিক সমিতির মহাসচিব। বলেলেন প্রশিক্ষণের অভাবে কথা।
সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫ বছরের জেল, এই বিধান রেস্তোঁরায় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে পারছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তার উপর নেই ল্যাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা, সেদিকেও সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ তাদের।