জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঝিনাইদহে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান। রোববার সকালে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি দরজির কাজ করে সংসার চালাতেন। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের একজন মারা গেছেন, অন্য একজনের বিয়ে হয়েছে। আরেক মেয়ে প্রতিবন্ধী অবস্থায় বাড়িতেই থাকেন। বর্তমানে স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে ও ছেলের বউ নিয়ে ছিল তাঁর সংসার।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ২০ দিন ধরে ওই ব্যক্তি জ্বরে ভুগছিলেন। এর মধ্যে গতকাল তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে রাত সাড়ে নয়টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, ওই ব্যক্তি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছেন। তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁরা সব নিয়ম মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে লাশ গ্রামে পাঠান। সেখানে রবিবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
চিকিৎসক সুলতান আহম্মেদ বলেন, পরিবারটির অন্য চার সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জানান, মরদেহের গোসল হাসপাতাল থেকেই সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামে নিয়ে আসার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকজন আর ওই ব্যক্তির দুই ভাই জানাজায় অংশ নেন। তারপর লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে ৪ এপ্রিল জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলায় এক ব্যক্তি (৭০) ঠান্ডা-কাশি নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে তাঁর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি।