আব্দুল হামিদ : তুলা। কাপড় তৈরিতে যে সুতা ব্যবহৃত হয়, তার মূল কাঁচামাল এই তুলা। দেশে তুলা নিয়ে গবেষণা আর উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু গবেষকসহ জনবল সঙ্কটের কারণে তুলার নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি মাঠপর্যায়েও সম্প্রসারিত হচ্ছে না তুলার চাষ।
পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এই খাতের, সুতাকলগুলোর জন্য যে পরিমাণ তুলার প্রয়োজন, তার সিংহভাগই আমদানি করতে হচ্ছে বিদেশে থেকে।
আর এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশের তুলা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। যার আওতায় ১৯৭৪ সাল থেকে চলছে গবেষণা, প্রশিক্ষণ আর উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম।
সারাদেশে ৫টি তুলা গবেষণা খামারের মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামারটি অন্যতম।
নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন আর বীজ উৎপাদন বাড়াতে ১৫০ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় এই খামারটি।
এখানকার বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নানা জাতের উচ্চ ফলনশীল তুলাবীজ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তের চাষিদের কাছে।
গাজীপুর, তুলা গবেষণা প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামারের কটন এগ্রোনোমিস্ট ও কৃষিবিদ মো: শামসুল বারী জানান, চাষাবাদ করা হয়না এমন পতিত জমিতেও তুলা চাষ করে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
গবেষক সংকট সমাধানের পাশাপাশি, কৃষকদের তুলা চাষে উদ্বদ্ধু করতে জনবল বাড়ানোর কথা জানালেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. ফরিদ উদ্দিন।
সম্ভাবনাময় এই তুলা চাষ দেশব্যাপি ছড়িয়ে দিতে পারলে, কমবে আমদানি নির্ভরতা, লাভবান হবে কৃষক, এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।