পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে গত রবিবার সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় ১৩৭ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে সোমবার জানিয়েছে দেশটির সরকার। নাইজারে রক্তক্ষয়ী এ হামলার ঘটনায় দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এ শোক শুরু হচ্ছে।
মালির সীমান্তবর্তী নাইজারের তিনটি গ্রামে রবিবার নৃশংস হামলা হয়। জঙ্গিরা এ হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সোমবার হামলা ও হতাহত হওয়ার তথ্য জানিয়ে নাইজার সরকারের মুখপাত্র জাকারিয়া আবদুরহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকার নিরাপত্তা জোরদার করবে। কাপুরুষোচিত ও অপরাধমূলক এ কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মালি সীমান্তের কাছের গ্রামগুলোতে বন্দুকধারীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। গুলি চালানোর সময় তারা কোনো বাছবিচার করেনি। সরকার এই নৃশংসতার নিন্দা করছে। সরকারের মতে, যারা এই কাজ করছে, তাদের আইন বা কোনো ধর্মে বিশ্বাস নেই।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনদিন জাতীয় শোক পালন করা হবে।
জঙ্গিরা নাইজারের প্রত্যন্ত ও বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোয় আকস্মিক হামলা চালিয়ে সটকে পড়েছে। তারা হামলা চালানোর জন্য মোটরবাইক ও পিকআপ ট্রাক ব্যবহার করছে।
নাইজারে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। গত এক সপ্তাহে নাইজার-মালি সীমান্ত এলাকায় এমন হামলার ঘটনায় ২৩৬ জন নিহত হলো।
নাইজারের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের জন্য বন্দুকধারীদের হামলা চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় তিনি কিভাবে এই ধরনের হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণ করেন। যারা অনেক বছর ধরে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে দারিদ্রপীড়িত দেশগুলোর মধ্যে নাইজার অন্যতম। দেশটির মালি ও নাইজেরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় প্রতি বছর শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।