বলিউডের গুণী নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বনশালীর ‘পদ্মাবত’। প্রথম দিনের হিসেবে ছবিটি ‘বাহুবলী ২’–কেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম দিনে ২৪ কোটি ও দ্বিতীয় দিন ৩২ কোটির ব্যবসা করেছে দীপিকা–রণবীর–শাহিদ কাপুর অভিনীত এই সিনেমাটি।
এটা শুধু ভারতে। বিদেশেও ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। শনি–রবিবার ব্যবসার অঙ্ক অনেকটাই বাড়তে পারে। ক’দিন আগেই বিশ্লেষকরা বলেছিলেন মুক্তির চার দিনের মধ্যেই এই ছবির বক্স অফিস আয় ১০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলবে।
রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে আটকে দেওয়া হয়েছে ‘পদ্মাবত’-এর প্রদর্শন। বিহারেও আটকে আছে ছবির প্রদর্শন। তবু ছবির এই মারকাটারি বাণিজ্যে মুখে হাসি টিম ‘পদ্মাবত’–এর। মনে করা হচ্ছে, এই ৪টি রাজ্যে সিনেমাটি মুক্তি পেলে আয় ৭০ কোটির ঘর ছাড়িয়ে যেত।
সঞ্জয়লীলা বনশালি তাঁর ‘পদ্মাবত’ তৈরি করতে খরচ করেছেন ১৮০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য ছবিটির থ্রিডি ও আইম্যাক্স ফরম্যাট বানাতে আরও ২০ কোটি টাকা খরচ করেন তিনি। সব মিলিয়ে ২০০ কোটির বাজেট।
তবে যেভাবে ঝড়ের গতিতে দৌড়াচ্ছে ‘পদ্মাবত’ তাতে এই টাকা ঘরে তুলতে বনশালিকে আর মাত্র দিন বারো অপেক্ষা করতে হতে পারে, মত বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় কর্ণী সেনার জাতীয় সম্পাদক, হরিয়ানার বিজেপি নেতা সুরজপাল অমুকে। পদ্মাবতের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে হিংসা ছড়িয়েছে কর্ণী সেনা। পুলিশের দাবি, তাতে উসকানি দিয়েছোন অামু। তাঁকে ৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
জেরা করার জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করা হয়েছিল অামুকে। পরে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবারই কর্ণাটকের বেলগাঁওয়ের প্রকাশ সিনেমা হলের বাইরে পেট্রল বোমা ছোঁড়া হয়। হলে তখন ‘পদ্মাবত’–এর প্রদর্শন চলছিল।
গভীর রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে একটি বোতল ভর্তি পেট্রল হলের সামনে ছুঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিশাল শব্দে হলের ভেতর দর্শকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এদিকে ‘পদ্মাবত’–এর জবাবে বনশালির মাকে নিয়ে সিনেমা তৈরির উৎকট পরিকল্পনার কথা জানাল কর্ণী সেনা।
শুক্রবার চিতোরগড়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কর্ণী সেনার জেলা সভাপতি গোবিন্দ সিংহ খানগারোট বলেন, ছবির নাম হবে ‘সঞ্জয় কি লীলা’। পরিচালনা করবেন অরবিন্দ ব্যাস। শুরু হয়ে গেছে চিত্রনাট্য লেখার কাজও।
এই বছরই মুক্তি পাবে ছবিটি। গোবিন্দ বলেছেন, বনশালি আমাদের মা পদ্মাবতীকে অপমান করেছেন। তাই তাঁর মাকে নিয়ে আমরা এবার ছবি তৈরি করতে চলেছি।
অন্যদিকে, রাজস্থানের জয়পুরের সাহিত্য উৎসবে যাচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিলেন ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের প্রধান প্রসূন যোশি। বলেছেন, উৎসবে আসা কবি সাহিত্যিক ও সাহিত্যপ্রেমীদের সঙ্গে অনুভূতি ভাগ করে নিতে পারছি না বলে খারাপ লাগছে।
তবে আমি চাই না সাহিত্য উৎসবে কোনও রকম গোলমালের আঁচ লাগুক। উল্লেখ্য, ‘পদ্মাবত’ সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর কর্ণী সেনা ঘোষণা করেছিল, বোর্ড প্রধান প্রসূন যোশিকে রাজস্থানে ঢুকতে দেওয়া হবে না।