শারমিন আজাদ :
শিক্ষানীতিতে আনন্দের সাথে পাঠদানের নিয়ম থাকলেও বইয়ের ভারে বিকশিত হচ্ছে না শিশুদের সহজাত মানসিকতা। শিক্ষা অধিদপ্তরও স্বীকার করছে, স্কুলগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত পড়ার চাপ ভীতি তৈরি করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষকরা যেমন তেমন পড়িয়ে ঠেলে দিচ্ছেন কোচিংয়ে। অভিবাবকরাও নিরুপায়।
বিদেশে শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। সেখানে শিশুদের যার যে দিকে ঝোঁক সেদিকেই ভবিষ্যত গড়ে তোলা হয়। শিশু নিজেই বেছে নেয় তার আগ্রহের বিষয়। নোট-গাইড আর বাস্তববিবর্জিত মুখস্থ বিদ্যায় ভর করে না তারা।
অথচ এর বিপরীত দৃশ্য, বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে। অভিভাবকরা বলছেন, পরিস্থিতির শিকার হয়ে পড়ার চাপকেই স্বাভাবিক মেনে নিয়েছেন তারা।
তবে কতটা আনন্দের সঙ্গে পাঠদান করা হয়, সে বিষয়ে জানতে চাইলে জবাব দিতে চাননি অনেক স্বনামধন্য স্কুলের প্রধানও। রাজধানীর ফ্ল্যাটবাড়িতে গড়ে ওঠা স্কুলগুলোরও একই দশা। তবে কিছু স্কুল সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চেষ্টা করছে আনন্দের সাথে পাঠদান করতে।
শিক্ষা অধিদপ্তরও বলছে, অবকাঠামো ঠিক নেই সরকারি বিদ্যালয়গুলোর। তবে সেখানে পড়ার চাপ বেসরকারি স্কুলের চেয়ে কম বলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বস্তিতে আছে , এমনটা জানান তারা।
শিক্ষা ব্যবস্থায় মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার এবং বেশি প্রাকটিক্যালের চর্চা পড়াশোনার একঘেয়েমি কাটিয়ে দেয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।