শারমিন আজাদ :
বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলো চলছে কোন নীতিমালা না মেনেই। লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতাল নাম নিয়ে চলছে কিছু প্রতিষ্ঠান। এর সাথে যোগ হয়েছে বাড়তি ফি। চলছে রোগীদের হয়রানি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবসার নীতিতে নিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পথ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এসব অনিয়মে ৫০ কোটি টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
ট্রমা সেন্টারের তত্বাবধানে চলছে আশিক নামের হাসপাতাল। যার কিছু কাগজ পত্র আশিক হাসপাতালের নামে, কিছু অন্য নামে। অথচ নিয়ম আছে যে নামে লাইসেন্স সে নামেই থাকতে হবে কাগজপত্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের সহজ জবাব, প্রতিষ্ঠান চলছে অন্য ব্যবস্থাপনায়।
ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল নামে রাজধানীর আরেকটি হাসপাতাল চলছে অনুমোদন ছাড়াই। একজন চিকিৎসকের তত্বাবধানেই চলছে প্রতিষ্ঠানটি।
কারণ জানতে চাইলে ব্যাখ্যা দিতে চিকিৎসক ফোন করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তদরে। টেলিফোনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও জানিয়েছে, হাসপাতালের অনুমোদন নেই এই প্রতিষ্ঠানের।
এ তো গেল নীতিমালা না মানার চিত্র। কিন্তু চিকিৎসার বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা নিয়েও চলছে ইচ্ছেমত দাম হাকানোর ব্যবসা। একই হাসপাতালে যে পরীক্ষার মূল্য সাড়ে তিন হাজার টাকা, অন্যটিতে তা ৪ হাজার। আবার কোথাও ৬ থেকে ৭ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক জানালেন, এসব অনিয়ম ধরতে প্রায়ই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলে।
হাসপাতালের মালিক জানালেন , একেকজনের ব্যবসা পলিসি একেক রকম।
চিকিৎসকরা জানালেন, রোগীর স্বার্থে প্রতিষ্ঠানগুলোর সহনীয় হওয়া উচিৎ। তাদের অভিমত, মালিক পক্ষের ইচ্ছেয় চলে এসব হাসপাতাল। তবে রোগীদের কাছ থেকে জানা গেল, চিকিৎসকের ইচ্ছেয় তাদের বেছে নিতে হয় ডায়গনস্টিক