মাহবুব সৈকত :
ইউটিউব, বিনোদন, তথ্য কিংম্বা সংবাদ, সব কিছু দেখার এখন অন্যতম মাধ্যম। প্রযুক্তির এই কল্যানে এখন অনেক কিছুই হাতের মুঠোয়। যে কেউ নিজের পছন্দের নামে খুলতে পারেন ইউটিউব চ্যানেল। এর মাধ্যমে ভালো উপার্জন করার সম্ভব। সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবারও হয়েছেন দেশের বেশ কয়েকজন তরুন।

তবে বুঝে কিম্বা না বুঝে নিয়ন্ত্রণহীন অবারিত এই ক্ষেত্রকে কলুষিতকারীদের সংখ্যাও কম নয়। তাই বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
একটা সময় ছিলো যখন ঘরে বসে বিনোদিত হতে টেলিভিশনই ছিলো একমাত্র মাধ্যম। এক পরিবারে সাধারণত একটাই টিভি সেট থাকে, তাই পছন্দের ভিন্নতা থাকলেও সেটের সামনে বসে সবাইকে একই অনুষ্ঠান দেখতে হতো।
কিন্তুু এখন সময় পাল্টেছে, যে যার সময় অনুযায়ী দেখতে পারছে পছন্দমত অনুষ্ঠান। অবারিত এই সুযোগ করে দিয়েছে ইউটিউব। শুধু বিনোদনই নয়, শিক্ষার অন্যতম মাধ্যমও সহজ করেছে প্রযুক্তি।

কম্পিউটার, ল্যাপটপ এমনকি মোবাইলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজেই ইউটিউবে খুঁজে পেতে পারেন জীবনের জন্যে যা কিছু প্রয়োজন এমন সচিত্র তথ্য।
কিছুদিন আগেও বাংলায় পর্যাপ্ত উপাদান ছিলো না ইউটিউবে, তবে এখন উন্নতি ঘটেছে। যদিও কতটুকু মানসম্মত হচ্ছে তা নিয়ে রয়েছে মিশ্র মত। মোটামুটি জানাশুনা যে কেউ একাউন্ড খুলে পছন্দের নামে করতে পারেন নিজের একটি চ্যানেল। দিতে পারেন ভিডিও। এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত হলে মানসম্মত ভিডিও দিয়ে উপার্যন করতে পারেন অনায়াসে।
এই মাধ্যমে কাজ করে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়ে ইউটিউবার হিসেবে খ্যাতি অর্জনও করেছেন দেশের বেশ কয়েকজন সম্ভাবনাময় তরুন।
তৌহিদ আফ্রিদি এদেরই একজন। ইউটিউবার হওয়ার পিছনের গল্প কি তা জানান তিনি। দর্শক প্রিয়তা ধরে রাখতে কতটুকু কাজ করতে হয় তাও জানান এই ইউটিউবার।
ইউটিউবারদের প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন সচেতন মানুষ। এত সুযোগ সম্মত এই মাধ্যম কি তাহলে মুল ধারার গণমাধ্যমকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাব কি বিশ্লেষকদের কাছে।
সীমাহীন এই মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রন না করা গেলেও নজরদারীতে সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সবারই প্রত্যাশা ইউটিউবের মত প্রযুক্তির অবারিত ক্ষেত্রকে দেশ এবং মানুষের কল্যানেই কাজে লাগাবে নতুন প্রজন্ম।
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিওটিতে: