পাকিস্তানের ৩৩তম টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে দুরন্ত পারফর্ম করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে দলকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে রক্ষা করলেন এই ওপেনার।
মঙ্গলবার ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। ফলে স্বাগতিকদের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে তারা। তবে সিরিজ ২-১ এ জিতেছে ব্ল্যাক ক্যাপরা।
নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শাদাব খান। মার্টিন গাপটিল ও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা টম সেইফার্টের কল্যাণে মোটামুটি ভালো শুরুই হয় নিউজিল্যান্ডের। ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান জমা করে সাজঘরে ফেরেন মার্টিন গাপটিল (১৯)। এরপর ফাহিম আশরাফ এসে ম্যাচের পাল্লাটা পাকিস্তানের দিকে ঠেলে দেন। নিজের পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন কেন উইলিয়ামসন ও সেইফার্টকে (২০ বলে ৩৫)। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন ডেভন কনওয়ে। শুরুতে গ্লেন ফিলিপস (২০ বলে ৩১) ও পরে স্কট কুগেলাইনকে (৬ বলে ১৪) সঙ্গে নিয়ে বিশ ওভারে দলের স্কোর ১৭৩-এ নিয়ে যান কনওয়ে (৪৫ বলে ৬৩)। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ফাহিম আশরাফ নেন তিন উইকেট। দুটি করে পান শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।
১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানও প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৪০ রানে। ওপেনার হায়দার আলীকে (১১) হারালেও রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার রিজওয়ান ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। দুজনে গড়েন ৭২ রানের জুটি। আগের ম্যাচে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা হাফিজকে (৪১) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান কুগেলেজিন।
এরপর দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের পথে রাখেন রিজওয়ান। তাকে কিছু সময়ের জন্য সঙ্গ দেন খুশদিল শাহ (১৩) ও ফাহিম (২)। তাদের সাথে যথাক্রমে ২৯ ও ২২ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন রিজওয়ান।
তবে ১৮তম ওভার করতে এসে ম্যাচ জমিয়ে দেন সাউদি। পরপর দুই বলে ফাহিম (২) ও অধিনায়ক শাদাব খানকে (০) সেইফার্টের গ্লাভসে ক্যাচ বানিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ সৃষ্টি করেন তিনি।
চাপটাকে সামাল দেন ইফতেখার আহমেদ। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে ম্যাচে উত্তেজনা নিয়ে আসেন জেমিসন। দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কনওয়ের হাতে বন্দী হন রিজওয়ান। পাকিস্তানের রান তখন ১৭১। রিজওয়ানের ৫৯ বলে ৮৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার ও ৩ ছয়ে।
তবে এই ধাক্কাও সামাল দেন ইফতিখার। পাকিস্তানের যখন ৩ বলে ৩ রান প্রয়োজন তখন জেমিসনের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন ইফতিখার (১৪)।
নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে সাউদি ও স্কট কুগেলেইন সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন। জয় এনে দেওয়া ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রিজওয়ান। তিন ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করে সেইফার্ট হয়েছেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।