আপনার সন্তান কি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে? ঘুম থেকে আচমকা উঠে বসে? ঘুম থেকে উঠে খিটখিটে মেজাজ হয়? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে এখনই সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। হতে পারে ওই শিশুটি ‘অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’ আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন দেখা যাচ্ছে বড়দের রোগ শিশুদের শরীরে থাবা বসাচ্ছে । প্রবণতা বেশি শহরাঞ্চলে। সেক্ষেত্রে সন্তানের বয়স বাড়লেও শারীরিক ও মানসিক বিকাশ থমকাতে পারে!
শুধু ভারতে নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এর উপস্থিতি চিন্তিত করছে ফুসফুস বিশেষজ্ঞদের। ইলিনয়েশ শহরের মাউন্ট ভেরননের এসএসএম হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান নাগা সিরোকোন্ডাও এ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন।
তিনি বলেছেন,’ এখানেও এই সমস্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একদিকে মাত্রাতিরিক্ত কার্টুন আর মোবাইল গেম নির্ভরশীলতা। শিশুদের স্থুলকায় করে তুলছে।অন্যদিকে জাঙ্ক ফুড। তা থেকেই শিশুদের মধ্যে এই স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যার দানা বাঁধছে।’
তাঁর দাবি, এখানেই শেষ নয় এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের একটা বড় অংশের ঠিকমতো বৃদ্ধি হয় না। স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে গ্রোথ হরমোন রিলিজ হওয়া ব্যহত হয় । স্বাভাবিক শিশুদের থেকে পিছিয়ে পড়ে।
ভারতেও এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ইনস্টিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এর ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ প্রভাস প্রসূণ গিরি। তাঁর চেম্বারে নিয়মিত এই ধরনের শিশু রোগী আসার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি করেন। এই রোগ চিহ্নিত করতে দরকার পলিসোমনোগ্রাফি টেস্ট।
প্রভাস বলেন,’ আপনার সন্তান যদি রাতে নিয়মিত বিছানা ভেজায় ,নাক ডাকে, ঘুমে ছটফট করে,স্কুলে অমনোযোগী হয়ে ক্রমশ গ্রেড খারাপ হচ্ছে এবং মুড সুইং হয় তাহলে সাবধান অবশ্যই হতেই হবে।
দ্রুত স্লিপ ল্যাবে নিয়ে গিয়ে টেস্ট জরুরি। হতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়া থাবা বসিয়েছে।’ তাঁর মত আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশও এক্ষেত্রে ঠিকমতো হয় না। চিকিৎসকরেরা সচেতন না হয়ে মানসিক রোগের চিকিৎসা শুরু করে আরো বেশি সমস্যা তৈরি করেন।