হাসান জাকির :
ভয়াবহ মরণ নেশার নাম মাদক। যার থাবায় রীতিমত আক্রান্ত হয়ে যুব সমাজ থেকে শুরু করে বয়বৃদ্ধরাও। তেমনি এক মরণ নেশার নাম গুল। সহজলভ্য হওয়ায় দেশের প্রায় প্রতিটি দোকানে হাত বাড়ালেই মিলে যায় এই নেশা।
সেই গুল উৎপাদনকারী কারখানার ভয়াবহ চিত্র নিয়ে আমাদের এবারের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘‘আলো আধাঁরের গল্প’’ তুলে ধরা হলো।
নেশাজাত দ্র্রব্য উৎপাদনে তার না কি রয়েছে বৈধতা। তাই আলো আঁধারের গল্প টিমের সঙ্গে চলছে বৈধতার যুক্তি উত্থাপন পর্ব।
গোমর ফাঁস হয় কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের। কাগজ কলমে দাঁতের মাজন হিসেবে পণ্য উৎপাদন করলেও বাজার যাত হচ্ছে গুল হিসেবে। যা নেশার যগতের প্রাথমিক স্তর।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা। মাইটিভির আলো আঁধারের গল্প টিমের ক্যামেরার অবস্থান রাজধানীর সোয়ারী ঘাট এলাকায়।ক্যামেরায় উঠে আসে ‘‘শাহাজাদা’’ নামের একটি গুল উৎপাদন কারী কারখানার ভয়াবহ চিত্র। তামাকের সংশিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে নেশা।
কর্মরত সকলেরই বয়স ১২ থেকে ১৫ কোঠায়। হতে গোনা ২/১ জন যুবকের দেখা মিললেও, কর্মরত অধিকাংশই যুবতি। কথা হয় তাদের সঙ্গে।
তিন তলা ভবননের পুরোটাতেই চলছে একই কাজ। ক্যামেরার অবস্থান টের পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ঠ আরো একজন।
এবার সমোঝতার প্রস্তাব। গুল নামক এই নেশাতে রীতিমত আক্রান্ত নানা শ্রেনী পেশার মানুষ।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন গুলের ঝাঁঝ মানবদেহে প্রদাহ বৃদ্ধি করে। সেই সাথে সম্ভবনা রয়েছে দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হবারও।
আর অপরাধ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মাদকের উৎপাদন ও পরিবহনে শিশুদের ব্যবহার আগামী প্রজন্মকে ধ্বংশের পথে নিয়ে যাবে।