দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচিত একটি বিষয় প্রশ্নপত্র ফাঁস। সমাজবিদ ও শিক্ষাবিদরা মনে করেন এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস দিয়ে নৈতিক স্খলনে হাতে খড়ি, যা তরুণ প্রজন্মের সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংস করছে।
পরবর্তী জীবনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় একই অসাধু উপায় বেছে নিতে চায় তারা যা উস্কে দিচ্ছে ভবিষ্যত দুর্নীতির পথ। এতে হতাশায় ভুগছে পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা।

তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে চলছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের হিড়িক। কখনো নগদ অর্থের বিনিময়ে আর কখনো বিভিন্ন হাত বদলে প্রশ্নপত্র চলে যাচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। এভাবে প্রশ্ন ফাঁসের জালিয়াতির চক্রে পড়েছে বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার্থীরা।
পুরো বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাবিদরা যেমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সমাজবিদরা উদ্বিগ্ন এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বস করার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে তাদের সম্পর্কে জানার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

কড়া নজরদারির আড়ালেও হচ্ছে দুর্নীতি, রয়েছে ডিজিটাল উত্তর ফাঁসের ফাঁদও। আর জীবনের শুরুতেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া এসব শিক্ষার্থীরা পরবর্তী জীবনে বেরুতে পাওে না এ রাহুগ্রাস থেকে।
সংকট উত্তরণে তাই সরকারি নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পুরো বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাবিদরা যেমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সমাজবিদরা উদ্বিগ্ন এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে। প্রশ্নপত্র ফাঁস সমাজের তরুণ প্রজন্মের জীবন ধ্বংস করছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নেহাল করিম। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের তাগিদ দেন এই সমাজ বিজ্ঞানী।
নিচে ভিডিওটি দেখুন: