আবু সাঈদ অপু : চারদিকে কান্নার রোল। সবার মুখে গভীর শোকের ছাপ। কেউ কারও সাথে কথাও বলছে না। শুধু দুচোখ বেয়ে সবার চোখে ঝড়ছে বেদনার রক্তাক্ত অশ্রু। এমন চিত্র এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন প্লাটিক সার্জারী ইউনিট ও মর্গে। তবে লাশ সানাক্তকরণ নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন নিহতের স্বজনরা। যদিও সরকারের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
এমন প্রশ্নের উত্তর হয়তো কারও দেয়ার সামর্থ নেই। তবে বেদনার নীল রং যে সবার মনে রক্তাক্ত হয়ে নির্গত হচ্ছে সেটাও হয়তো অনুধাবন করার মতো। পিতা-মাতার কাধে সন্তানের লাশ বিয়টি সত্যিই হ্নদয় বিদারক।
তাই মায়ের এমন আহাজারী। বাবাও চান তার সন্তানের শেষ অস্থিত্বটুকু। কিন্তু পাবে কিনা? তা নিয়ে রীতিমতো সংশয় রয়েছে তাদের। কারন অনেক মানুষ পুড়ে কয়লা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে এখন স্বজনদের আহাজারী। তাদের আর্তনাদে ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে সেখানকার পরিবেশ। মানুষের নিরবতা আর নিস্তদ্ধতা এবং স্বজনদের লাশ পাওয়ার প্রতিক্ষা অনেক কষ্টের। সবার প্রশ্ন একটাই কখন মিলবে মরদেহ।
এই অগ্নিকান্ডে যারা আহত হয়েছেন, তাদের ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেন বার্ন ইউনিটে। নিবির পরিচর্যায় রাখা হয়েছে তাদের। সেখানেও রোগীর স্বজনদের আহাজারী।
এর কিছু সময় পর হাসপাতালে যান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী , ওবায়দুল কাদের ও্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল। রোগীদের দেখভাল শেষে ওবায়দুল কাদের জানান এ ঘটনায় সরকারের অবস্থান।
আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।