ঢাকা , শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ , ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হতে পারে পুলিশের লাঠিচার্জে সংসদ ভবন ছাড়লেন জুলাই যোদ্ধারা পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর-সড়কে আগুন পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর-সড়কে আগুন হামজাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিতে চান নতুন ক্রীড়া সম্পাদক নার্গিস জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করা হয়েছে : আলী রীয়াজ শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক যে তিনভাবে জানা যাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আফগানিস্তানে বিস্ফোরণে নিহত ৫ গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরাইল: ট্রাম্প চানখারপুলে ৬ হত্যা: আজ ট্রাইব্যুনালে ফের সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা দাবি আদায় না হলে শাহবাগে ব্লকেডের ঘোষণা শিক্ষকদের মৃতদেহ শনাক্ত হলে দ্রুত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন এখনো বের হচ্ছে ধোঁয়া, কেমিক্যালের প্রভাবে অসুস্থ হচ্ছেন অনেকে বন্ধু না আসায় কবুল বললেন না বর তার ওপর হামলা ছিল ‘টেস্ট কেস’: নুর ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, পুড়ে মারা গেলেন ১৯ যাত্রী ইসরাইলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল হামাস রেমিট্যান্স না আসলে সরকারের টিকে থাকা মুশকিল ছিল: প্রধান উপদেষ্টা

রাজধানীতে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি শুরু

  • আপলোড সময় : ২০-১১-২০২৪ ০৩:০০:৩৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১১-২০২৪ ০৩:০০:৩৯ অপরাহ্ন
রাজধানীতে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি শুরু
রাজধানীতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে আজ বুধবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ট্রাকসেলে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়বে ৪০ টাকা। তবে একজন ব্যক্তি ৩ কেজির বেশি আলু কিনতে পারবেন না। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি তেল, ডাল ও খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরবরাহ করা চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, এই কার্যক্রমের সঙ্গে বুধবার (আজ) থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোক্তাদের জন্য জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি আলুর দাম পড়বে ৪০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় কারওয়ান বাজারে অবস্থিত টিসিবি ভবন থেকে আলু বিক্রির এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।কৃষকের ২৮ টাকার আলু হাতবদলে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় : মুন্সীগঞ্জের হিমাগারগুলোয় সর্বকালের সেরা দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আর বীজ আলুর মূল্য যেন লাগামহীন ঘোড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজি ওজনের বস্তার আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০০-৬০০ টাকা। অথচ তিন থেকে চার বছর আগে ৫০০-৬০০ টাকায় পাওয়া যেত পুরো ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা আলু। প্রতি কেজি বস্তার আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ২৭০০-২৯০০ টাকা। যা আলুর মূল্যের সর্বকালের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড। অথচ এক সপ্তাহ আগে যাহা ছিল ২২০০-২৩০০ টাকা।
মৌসুমে সাধারণ চাষিদের হিমাগারে তেমন আলু না থাকায় এতে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।

বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে অসাধু সিন্ডিকেট। ফলে হিমাগার থেকে বের করার পর হাত বদলালেই বেড়ে যাচ্ছে আলুর দাম। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে উৎপাদক পর্যায়ে ২৮ টাকার আলু হাত বদলে ভোক্তার ব্যাগে উঠছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। ফলে ‘লাভের মধু’ খাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। অথচ গত বছরের অক্টোবরের এ সময়ে খুচরা বাজারে আলুর দর ছিল ৪০ টাকা কেজি।আলুর দাম বৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করছেন পাইকারদের। আর পাইকাররা দুষছেন হিমাগার সিন্ডিকেটকে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাত বদলালেই বাড়ছে দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট। ফোনে ফোনে দাম বাড়াচ্ছেন মজুদদাররা। এ অবস্থায় বাজার মনিটরিং জোরদার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ভোক্তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, মুন্সীগঞ্জে গত মৌসুমে ৩৪ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। এতে ১০ লাখ টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর মধ্য নভেম্বর থেকে শুরু হবে চলতি বছরের আলু রোপণ মৌসুম। এ বছর ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হিমাগার থেকে খুচরা বাজারে পৌঁছানো পর্যন্ত ৫ ধাপে হাত বদল হয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অধিক মুনাফায় বিক্রি করায় আলুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আলুর দরে বড় ফারাক, দেখলেই তা সহজেই বোঝা যায় বলে মন্তব্য করেন কৃষকসহ হিমাগার মালিকরা।

কৃষক, ব্যবসায়ী ও হিমাগার সূত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জে গত মৌসুমে বৃষ্টির কারণে দুই দফা আলু রোপণ করা হয়। এতে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়ে ১৭ থেকে ১৮ টাকা। কৃষক সেই আলু পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে ২৮ টাকা কেজি দরে; যা ৫০ কেজির এক বস্তা আলুর মূল্য দাঁড়ায় ১৪০০ টাকা। কিন্তু এখন সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকা বস্তা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, এ বছর অন্যবারের তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার টন আলু কম সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে জেলার ৬৪টি হিমাগারের ৫৪টিতে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি খাবার ও বীজ আলু মজুদ আছে। এখন মুন্সীগঞ্জের হিমাগারগুলোয় ৫১ হাজার ৮০০ টন খাবার আলু এবং ৬৪ হাজার ৫০০ টন বীজ আলু মজুদ আছে। গত বছর এ সময়ে হিমাগারগুলোয় ৪৭ হাজার টন খাবার আলু এবং ৫৯ হাজার ৫০০ টন বীজ আলু মজুদ ছিল। তারপরও আলুর দাম বাজারে বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর উপযুক্ত কারণ মূলত আমার জানা নাই, কেন পর্যাপ্ত আলু হিমাগারে থাকা সত্ত্বেও আলুর দাম বাড়ছে।

কমেন্ট বক্স
অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হতে পারে

অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হতে পারে