ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ আমার মতো চাপ কোনো নায়িকা নেয়নি: চিত্রনায়িকা মুনমুন বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা হচ্ছে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি যুবককে তুলে নেয়ার অভিযোগ এবি পার্টির নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনা হস্তান্তর প্রথম সফরে দিল্লিকে এড়িয়ে কেন বেইজিংয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলি জুলাই-আগস্টে আহতদের পুনর্বাসনে প্রকল্প নেবে যুব মন্ত্রণালয় চিন্ময় অনুসারীদের হামলা: আওয়ামী লীগের ২৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আপনাদের দেশে যাওয়া টাকা ফেরত চাই, ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে মাহফুজ ভারতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত ৬ মাসে তৈরি ঢাকাই জামদানিতে ভারত মাতালেন জয়া সিরাজ উদ দৌলা-মোহনলালের মতো হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে লড়ব: রিজভী এটিএস এক্সপো আয়োজন করছে ওয়ালটন চার হাত এক হবে আজ সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে যা বললেন এরদোগান ভালোবেসে এক সন্তানের জননীর কাছে চীনের চেং নাং ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাজনৈতিক, বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: উপদেষ্টা ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক এরদোয়ানের সমালোচনায় ৯ জনের কারাদণ্ড

ডিম-সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও মাছ-মুরগিতে অস্বস্তি 

  • আপলোড সময় : ২৫-১০-২০২৪ ১০:৫০:২২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-১০-২০২৪ ১০:৫০:২২ পূর্বাহ্ন
ডিম-সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও মাছ-মুরগিতে অস্বস্তি 
সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজি ও ডিমের দাম। তবে বাজারে এখনও উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছ ও মুরগির দাম। এতে ডিম-সবজির স্বস্তি অনেকটাই ফিকে হয়ে যাচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের কাছে।শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। দোকানগুলোতে শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে কমতে শুরু করেছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অস্থিরতা। সপ্তাহ ব্যবধানে হাতেগোনা কটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত।বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি; সরবরাহও ভালো। সামনে কোনো সংকট না হলে দাম হাতের নাগালে চলে আসবে। বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২০-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ১৪০-১৬০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
 
এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৪০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।এদিকে, নিম্নমুখী শাকের বাজারও। লালশাকের আঁটি ২০-২৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। গত সপ্তাহে বাড়তির দিকে থাকা কাঁচা মরিচের দাম কমে চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা দরে।বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এতে পাইকারি ও খুচরা -- উভয় পর্যায়েই কমেছে দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মরিচ ব্যবসায়ী মনিরুল বলেন, ঝড় বা বৃষ্টি না হলে মরিচের দাম আরও কমবে।এদিকে, বাজারে অভিযান চালানো, সভা-সেমিনার করা, আমদানি শুল্ক হ্রাস ও আমদানির অনুমতিসহ নানা নাটকীয়তার পর স্বস্তি ফিরেছে ডিমের বাজারে; বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদক পর্যায় থেকে কম দামে ডিম কিনতে পারলে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা সম্ভব হবে।বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৪৪-১৪৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১২ টাকা। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়।
 
ক্রেতারা বলছেন, ডিম ও সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বাজারে। মনিটরিং অব্যাহত রাখলে দাম আরও কমে আসবে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা কৃষ্ণা সরকার জানান,অনেকটাই কমে এসেছে শাক-সবজির দাম। ডিমের দামও কমেছে। সরকার মনিটরিং বজায় রাখলে বাজার নাগালে রাখা সম্ভব।বাজারে একদিকে যেমন স্বস্তি দিচ্ছে সবজি-ডিমের দাম, অন্যদিকে মাছ ও মুরগি কপালে ফেলছে চিন্তার ভাঁজ। উভয় পণ্যের দামই বাজারে ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে সরবরাহ কমায় বাড়ছে এগুলোর দাম।বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায় এবং সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

 মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যা ও ফিডের দামের প্রভাবে বাড়ছে মুরগির দাম। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রিপন বলেন,সামনে বিয়ের মৌসুম আসছে। একে কেন্দ্র করে এখন থেকেই পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়াতে শুরু করেছে কিছু পাইকার। এছাড়া, সাম্প্রতিক বন্যা ও ফিডের দাম বাড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক খামার। সব মিলিয়ে ঊর্ধ্বমুখী মুরগির বাজার।তবে বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
 
এদিকে, বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া, প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।ভোক্তারা জানান, শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করলেও চড়া মাছ-মুরগি ও পেঁয়াজের বাজার। দাম কমাতে কঠোর মনিটরিং দরকার। সামাদ নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে যে মুরগি ১৯০ টাকায় কিনেছি সেটি এখন ২১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। মাছের দামও বাড়তি। এতে বাড়ছে ব্যয়।সুখবর নেই আলু-পেঁয়াজের বাজারেও। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০-১৩৫ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত বাজার একটু চড়াই থাকবে। পাইকারিতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৪-৮ টাকা বেড়ে গেছে জানিয়ে কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রাকিবুল জানান,
 
পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৬-৯৮ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি থাকলে দাম কিছুটা নাগালে থাকতে পারে।বাজারে বেড়ে গেছে আদা-রসুনের দামও। প্রতি কেজিতে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২৬০ টাকা ও মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৮০ টাকায়।নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।এদিকে, গত ৭ অক্টোবর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার ও সরবরাহ পরিস্থিতি তদারকি এবং পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
 

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ

সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ