ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরদিনই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের কাছে শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন ‘ওরেশনিক’ নামে নতুন ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক অনির্ধারিত টেলিভিশন ভাষণে পুতিন বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। এগুলোকে আটকে রাখা অসম্ভব। আমাদের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, যা প্রয়োজনে যেকোনো সময় কাজে লাগানো হবে।’
একই সঙ্গে তিনি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইউক্রেনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
ইউক্রেন সম্প্রতি মার্কিন সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালায়। এই পদক্ষেপে যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর জবাবে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নিপ্রো এলাকায় নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া।
নিপ্রোতে যে হামলা হয়েছে, তাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা অস্বাভাবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং এর ফলে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো।
এদিকে রাশিয়ার সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় ট্রাম্পের সঙ্গে বসতে কিছু শর্ত দিয়েছেন পুতিন। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের ভূখণ্ডগুলো নিয়ে বড় কোনো ছাড় না দেয়া এবং কিয়েভের পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা ত্যাগ করা।
তবে ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কোনো চুক্তি হলে, তাতে ইউক্রেনে চলমান সম্মুখসারির যুদ্ধ বন্ধে রাজি হতে পারে ক্রেমলিন। পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চল ভাগাভাগির বিষয়েও আলোচনার সুযোগ রাখা হবে।