সৌদি আরবে গানে গানে মঞ্চ মাতালেন নগর বাউল জেমস। সুরের সেই সাগরে ভেসে গেলেন লাখো প্রবাসী বাংলাদেশি। মরুর বুকে লাখো প্রাণের আবেগ ছুঁয়ে যায় জেমসকেও। বিদায় বেলায় আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন, ‘আবার দেখা হবে’।
২০ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ উৎসব পরিণত হয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনন্য মিলনমেলায়।
সুর আর কণ্ঠের যাদুতে প্রবাসীদের হৃদয় ভাসালেন এই সুপারস্টার। সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো মঞ্চ মাতালেন জেমস। এমন খবরে দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ছিলো বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না আল-সুওয়াইদি পার্কে। পরিবেশ যেন এক টুকরো বাংলাদেশে রূপ নিয়েছিল। মঞ্চে উঠেই যেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হয়ে উঠলেন জেমস। মাথায় লাল গামছা, পরনে কালো টি-শার্ট আর নীল জিন্সে একের পর এক জনপ্রিয় গান গেয়ে মাতিয়ে তুললেন পুরো সমাগম। তার গিটারের সুর আর কণ্ঠের তরঙ্গে ভেসে প্রবাসীদের কণ্ঠেও বইল উচ্ছ্বাসের ঝড়।
‘সুন্দরীতমা’র গল্পে বিদায় নিলেও প্রবাসীদের আবেগে আপ্লুত হন জেমস। গানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার আশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
শুধু জেমসই নয়, হাবিব ওয়াহিদও ছিলেন উৎসবের আকর্ষণ। তার গানেও ছিলো অনাবিল উচ্ছ্বাস। বাঁধভাঙা আনন্দে ভেসে যান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ‘মরুর বুকে বাংলাদেশ’-এর এই চিত্রে সুর আর আনন্দ মিশে যায় একই স্রোতে।