দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাগ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বাইডেন প্রশাসন একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছেন। তবে এই চুক্তি ঐতিহ্যবাহী নৈতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মাবলী পাশ কাটিয়ে হয়েছে, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এই চুক্তি সই হয়, যার মাধ্যমে ট্রাম্প তার হোয়াইট হাউজে পুনঃপ্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। চুক্তির আওতায়, ট্রাম্পের দল এবং বাইডেন প্রশাসন একে অপরের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করবে, যাতে ট্রাম্পের মনোনীত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় শুরু করতে পারেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুততর হয়।
তবে, এই চুক্তির মাধ্যমে ট্রাম্প তার প্রশাসনের মনোনীত ব্যক্তিদের এফবিআইয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক এবং জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিএসএ) চুক্তি এড়িয়ে যান, যা প্রথাগত নিয়মের বিরোধী। এর ফলে ট্রাম্প প্রশাসন ৭.২ মিলিয়ন ডলার ট্রানজিশন ফান্ড পাবে না।
বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্র সলোনি শর্মা এই চুক্তির সমর্থন করেননি। তিনি বলেন, "এটি গৃহীত নিয়মাবলীর থেকে বিচ্যুতি ঘটাচ্ছে, তবে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করতে চাই না।"
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার জন্য এই সমঝোতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও এতে ঐতিহ্যবাহী নিয়ম এড়ানো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় গতি আনার প্রয়োজনীয়তা এখন আরও স্পষ্ট হয়েছে, বিশেষ করে মার্কিন জনগণের সুরক্ষা ও প্রস্তুতির স্বার্থে।