গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আজ (২৭ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতকে নিয়ে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তাদের মতে, ভারত বাংলাদেশে নৈরাজ্য এবং সহিংসতা সৃষ্টির জন্য উসকানি দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জনাযেদ সাকি, শেখ রফিকুল ইসলাম, হাসনাত কাইয়ুম এবং শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন এ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক দাবি করেছেন যে, ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি পরিকল্পিত তৎপরতা চালাচ্ছে, বিশেষত গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সরকারের পতনকে বিজেপি তাদের পরাজয় হিসেবে দেখছে এবং বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিগুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং উসকানি দেওয়ার শামিল।
এছাড়া, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যার ঘটনা এবং পত্রিকা অফিসের সামনে গরু জবাইয়ের ঘটনাকে এক ধরনের সহিংসতার প্রকাশ হিসেবে তুলে ধরা হয়। মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, এই ধরনের সহিংসতা দেশের জন্য বিপজ্জনক এবং প্রতিবেশী দেশের উসকানির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জনায়েদ সাকি বলেন, চট্টগ্রামে সহিংসতার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে। তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন এই ঘটনা এবং প্রতিবেশী দেশের প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ছে এবং কিছু ব্যক্তিরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
এভাবে, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশী দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।