ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে চলতি মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাপক আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে রুশ বাহিনী এ হামলা চালায়, যার ফলে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। এ ঘটনায় দেশটির ১০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী জেরমান গালুশেঙ্কো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, “শত্রুপক্ষ আবারও আমাদের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।” হামলার সময় ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে জরুরি বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করার কাজ করেছে জাতীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনার্গো। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রভাব রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর যেমন ওডেসা, ডিনিপ্রোপ্রেট্রোভস্ক ও ডোনেস্ক অঞ্চলে পড়েছে।
ইউক্রেনীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পর বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলো মেরামতের জন্য প্রকৌশলীরা কাজ শুরু করেছেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, হামলায় প্রায় ১০০ আক্রমণাত্মক ড্রোন এবং ৯০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
রাশিয়া, তার পক্ষ থেকে দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালানোর প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে হামলার জবাবে ৯০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০টি ড্রোন দিয়ে এই আক্রমণ করা হয়েছে।