খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক সহ–উপাচার্য সোবহান মিয়া ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক পিন্টু চন্দ্র শীলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কুয়েটের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে আজ বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে।
কুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন উপরেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী, দেবাশিস মণ্ডল, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য শাখা) মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পট্রোলার জি এম আবু সাঈদ, সহকারী প্রোগ্রামার মো. ওমর ফারুক, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার মো. মেহেদী হাসান রাজন এবং অফিস সহায়ক সত্যজিৎ কুমার দত্ত।
আনিছুর রহমান ভূঞা বলেন, ‘‘সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে মোট নয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।’’ এ ছাড়া কুয়েটের সাবেক উপাচার্য মিহির রঞ্জন হালদার এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শিবেন্দ্র শেখর শিকদার পদত্যাগ করার ইচ্ছা জানিয়ে আবেদন করেছেন। তবে তাঁদের বিষয়ে সিন্ডিকেটে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক সহ–উপাচার্য সোবহান মিয়া বলেন, ‘‘বুধবার রাতে বরখাস্তের চিঠি হাতে পেয়েছি। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিষয়টি যাচাই করব এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেব।’’