সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এতে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ভোক্তাদের মাঝে। তাদের দাবি, দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি আরও বাড়াতে হবে।দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে গত ৫ সেপ্টেম্বর আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে গত ৬ নভেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে প্রতিষ্ঠানটি। এ সুবিধা ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে। এতে বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম।ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তৌহিদুল নামে এক ক্রেতা বলেন, ভারত, পাকিস্তান ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে হবে। আমদানি বাড়লে সিন্ডিকেটের সুযোগ পাবেন না ব্যবসায়ীরা। তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ানবাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দাম কমলেও এখনও তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়।পেঁয়াজের দাম কমার তথ্য মিলেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যানেও। তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম ১২.৫০ শতাংশ ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১০ শতাংশ কমেছে।বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের কালি (কেজি ৫০-৬০ টাকা) ওঠায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যটির। তবে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার আগ পর্যন্ত দাম ১০০ টাকার নিচে নামার সম্ভাবনা কম।রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বিক্রেতা আনিস জানান, কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। মূলত বাজারে কালি উঠতে শুরু করায় পেঁয়াজের দাম কমছে। ছোট পেঁয়াজসহ এর পাতার দিকে বেশি ঝুঁকছে মানুষ। ফলে এর প্রভাব পড়েছে দামে।
আরেক বিক্রেতা মিন্টু বলেন, পেঁয়াজে গাছ গজাতে শুরু করায় মজুতদাররা পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া ভারত ও পাকিস্তান থেকেও আসছে পেঁয়াজ। এর মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাতাসহ ছোট পেঁয়াজ। এতে দামও কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের। আড়তদার ও আমদানিকারকরা বলছেন, বাজারে নিয়ন্ত্রণে আমদানির বিকল্প নেই। আমদানি বাড়ায় দাম কমছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিনহাজ বাণিজ্যালয়ের খলিল বলেন, বর্তমানে আড়তে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। মূলত ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। এর প্রভাব বাজারে পড়ছে।