ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আদানি গ্রুপের কাছে বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ বকেয়া অর্থ জমে থাকার কারণে গত ৩১ অক্টোবর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিল আদানি গ্রুপ। ধারণা করা হচ্ছে, বকেয়া অর্থের চাপ কমানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী সরকার।
তবে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই বিদ্যুৎ ক্রয় কমানো হয়েছে। বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রয়টার্সকে বলেছেন, “আদানি গ্রুপ প্রথম যখন বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিলো, আমরা তখন বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ ছিলাম। তবে এখন শীতের মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় আমরাও বিদ্যুৎ ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েছি।”
২০১৭ সালে শেখ হাসিনার সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়, যা শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য।
অন্যদিকে, আদানি গ্রুপের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১৪ দশমিক ৮৭ টাকায় কিনে বাংলাদেশে ৮ দশমিক ৯৫ টাকায় বিক্রি করে থাকে। এর ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশ সরকারকে বিদ্যুৎ খাতে ৩,২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়।
এদিকে, আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের মোট ৯০ কোটি ডলার পাওনা ছিল। সরকারের পরিবর্তনের পর কিছু অর্থ পরিশোধ করা হলেও এখনও বেশ কিছু বকেয়া অর্থ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার শিগগিরই এই অর্থ পরিশোধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া