অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং কিছু প্রভাবশালী দেশের শীর্ষ সংসদীয় শুনানিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু অন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি সেক্যুলার সংবাদপত্র এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশের ধর্মীয় সহিংসতা সম্পর্কিত মামলাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে শফিকুল আলম বলেন, "নেত্র নিউজ" প্রতিবেদনে উল্লিখিত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবি অনুযায়ী, বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে যে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগ রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কারণে ঘটেছিল এবং তা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছিল না। তিনি আরো বলেন, ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যথাযথভাবে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি, যদিও এতে অনেক সন্দেহজনক দাবির কথা বলা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ২০২৩ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে। তবে ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনগুলোতে এ ধরনের ঘটনাগুলো গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এসব প্রতিবেদন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ঘটে, তবে দেশের সরকার এবং সুশীল সমাজের নেতারা এ বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও বলেন, "আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো, যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনার বিষয়েও সঠিক তদন্ত করবে।"
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে কোনো আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আগে সঠিক তথ্য এবং তদন্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা উঠে আসলে তার সঠিক পর্যালোচনা করতে হবে।