২০১১ সালে আরব বসন্তের সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক স্বৈরশাসক ক্ষমতা হারিয়েছিলেন, কিন্তু কিছু শাসক নিজেদের কৌশল এবং পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে গেছেন। বাহরাইনের রাজা হামাদ এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। ২০১১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হলেও তিনি কিছু সংস্কারের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সক্ষম হন। যদিও তিউনিসিয়া, ইয়েমেন, মিসর এবং সিরিয়ার শাসকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ চলেছিল, তাঁদের শাসন কিছুতেই স্থায়ী হয়নি।
বাশার আল-আসাদ, যিনি ২০০০ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট হন, দীর্ঘ সময় ধরে সিরিয়ায় একনায়কত্ব বজায় রেখেছিলেন। সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে সম্পর্কের প্রাথমিক দিকে কিছু গণতান্ত্রিক সংস্কারের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে শাসনে কঠোর দমন-পীড়ন চালান। বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর শাসনকে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীদের দমন এবং দেশের নাগরিকদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন ঘটেছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দামেস্ক দখল করে জানিয়েছে, সিরিয়ার রাজধানী এখন আসাদ মুক্ত। বিমান দুর্ঘটনায় বাশার আল-আসাদের মৃত্যু হতে পারে বলেও বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তবে সিরিয়ায় তার শাসনের অবসান এবং দেশটির নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এখন সিরিয়ায় অবাধ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হচ্ছে এবং দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার সাধারণ জনগণের মাঝে এক ধরনের আনন্দ ও উল্লাস সৃষ্টি হয়েছে, কারণ তারা অনেক দিন পর একটি নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতে প্রবেশের আশা করছেন।