ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ , ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩২ বছর বয়সে ৮৭ সন্তানের বাবা! সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কৃষক ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করবে না যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে অবৈধ বাংলাদেশিরা, গ্রেফতার ৪ আসিফ নজরুলের আশ্বাসে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের আন্দোলন স্থগিত বিশ্ব সরকার সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন ড. ইউনূস ট্রাম্প-মোদির বৈঠক আয়োজনে ব্যাপক তৎপরতা ভারতের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ : প্রেস সচিব দিনের ভোট রাতে করা ডিসিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু ধর্ম নিয়ে দুই স্ত্রীর টানাটানিতে ১০ বছর ধরে ঢামেকের মর্গে স্বামীর মরদেহ জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের সাথে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ সাইফের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন ‘কেডি পাঠক’ খ্যাত রনিত যুক্তরাষ্ট্রে আরও রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ওষুধ, রেস্তোরাঁ ও পোশাকে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত আদালতে এসে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী শাহজালালে বোমাতঙ্কের অবসান, যাত্রীরা নিরাপদ তিন বাহিনীর পোশাকের ডিজাইনার ও অনুমোদনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হউক - আসিফ চালের দামে অস্থিরতা কমেছে, আমদানি করা হচ্ছে ১০ লাখ টন চাল–গম: খাদ্য উপদেষ্টা ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথি তৈরির কাজ চলছে : রুবিও ফ্রান্সে অবৈধ বসবাসে সহায়তা, ভারতীয়কে ৩০ মাসের কারাদণ্ড

পোশাক খাতে কমছে নারী শ্রমিক, প্রভাব প্রযুক্তির

  • আপলোড সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০৯:৫৬:৫০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০৯:৫৬:৫০ পূর্বাহ্ন
পোশাক খাতে কমছে নারী শ্রমিক, প্রভাব প্রযুক্তির
দেশের তৈরি পোশাক খাতে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ কমছে। স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি গ্রহণ ও অনান্য খাতের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় এই খাতে তরুণ প্রজন্মের আগ্রহও কমে গেছে। ‘বাংলাদেশে আরএমজি শিল্পের প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন’ শীর্ষক এই সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রযুক্তির প্রভাবে পোশাক খাতে কমছে নারী শ্রমিকসমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালে এ খাতে নারী শ্রমিক ৫৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০১৪ সালে ৫৬ শতাংশ ছিল।দেশে পোশাকশিল্পের শুরুতে নারী পোশাক শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৮০ শতাংশের বেশি এবং এই ধারা বহু বছর ধরে অব্যাহত ছিল।গতকাল রবিবার ঢাকায় লেক শোর হোটেলে অনুষ্ঠিত উন্নয়নবিষয়ক বার্ষিক বিআইডিএস সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক কাজী ইকবাল এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন। ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ জহির সেশনটি পরিচালনা করেন, যেখানে চারটি ভিন্ন গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা, মেশিন অপারেটর ও হেল্পারও কমেছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে তৈরি পোশাক খাতের বেশির ভাগ উপখাতে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে। এ খাতের আটটি উপখাতের মধ্যে ছয়টিতে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে; বেড়েছে মাত্র দুটিতে।টেকনোলজি আপগ্রেডেশন অব দ্য আরএমজি ইন্ডাস্ট্রিজ ইন বাংলাদেশ শীর্ষক উপস্থাপনায় বিআইডিএসের গবেষক কাজী ইকবাল দেখিয়েছেন, গত ১০ বছরে তৈরি পোশাকের উপখাতগুলোর মধ্যে শুধু হোম টেক্সটাইল ও ওভেন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। বাকি ছয়টি খাত অর্থাৎ নিট লনজারি, ডেনিম ট্রাউজার, সোয়েটার, টি-শার্ট, জ্যাকেট, ওভেন ট্রাউজার ও ওভেন শার্টে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমেছে সবচেয়ে বেশি কমেছে জ্যাকেটে। এই উপখাতে ২০১৪ সালে নারী শমিকের অংশগ্রহণ ছিল ৬৩.১৩ শতাংশ; ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.২২ শতাংশ।

উপস্থাপনায় বলা হয়, তৈরি পোশাক খাত গত ১০ বছরে অনেক বেশি পুঁজিঘন হয়েছে। সেই সঙ্গে শমিকপ্রতি যন্ত্রের সংখ্যা কমেছে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে মেশিন অপারেটর ও হেলপারদের ওপর সামগ্রিকভাবে তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বেড়েছে।
নারী শমিকদের সংখ্যা হ্রাসের সঙ্গে যে আরেকটি পরিবর্তন গত ১০ বছরে হয়েছে, তা হলো উৎপাদন খাতে প্রযুক্তি জানা মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে। এই খাতে বিএসসি ও ডিপ্লোমা টেক্সটাইল প্রকৌশলী বেড়েছে। কিন্তু টেক্সটাইল প্রকৌশলে নারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। এ ছাড়া বিএসসি শিল্প প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমা শিল্প প্রকৌশলীর সংখ্যা বেড়েছে।

ডিপ্লোমা শিল্প প্রকৌশলীর পেশা তুলনামূলকভাবে নতুন। তবে এই খাতে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে নারীরা এসেছেন। এই খাত গত ১০ বছরে অনেক বড় হয়েছে বলে নন-টেকনিক্যাল মানুষের সংখ্যাও দ্বিগুণ হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য।প্রশ্নোত্তর পর্বে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, ‘এই যে প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে নারীর শমশক্তিতে অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে, এর সামাজিক প্রভাব আছে। বিষয়টি কি একেবারে বাজারের হাতে দেওয়া হবে, নাকি এখানে নারীদের অংশগ্রহণের হার বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে?’এক প্রশ্নের উত্তরে কাজী ইকবাল বলেন, ‘নারীরা কোথায় কোথায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে সমস্যার মুখে পড়ছেন, তা চিহ্নিত করে তাদের নতুন দক্ষতা শেখানো দরকার। তাহলে নারীদের এই ঝরে পড়ার হার রোধ করা সম্ভব।’
এ প্রসঙ্গে বিআইডিএসের গবেষক মঞ্জুর আহমেদ বলেন, দেশে এই মুহূর্তে প্রযুক্তির কারণে বড় ধরনের ছাঁটাই হচ্ছে, তা নয়। তিনি চীনের একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘চীনে প্রযুক্তির কারণে ৩ শতাংশ ছাঁটাই হলেও ২ শতাংশ নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সবখানেই থাকবে। ফলে দরকার হচ্ছে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা বা তাদের নতুন দক্ষতা শেখানো এবং প্রয়োজনবোধে নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়া।’

প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কত মানুষের কাজ যাবে :সকালের অধিবেশনে আরেকটি গবেষণাপত্র ছিল উৎপাদন খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রভাব নিয়ে। উপস্থাপনা করেন বিআইডিএসের গবেষণা সহযোগী ফারহিন ইসলাম। উৎপাদন খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে উৎপাদনশীলতা বাড়লে কর্মসংস্থানে কী প্রভাব পড়বে, তার একটি তুলনামূলক চিত্র দেখান তিনি।

ফারহিন ইসলাম বলেন, ‘প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে উৎপাদনশীলতা বাড়লে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে ১৮ লাখ কর্মীর কাজ চলে যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে। এই খাতে ১০ লাখ মানুষের কাজ চলে যেতে পারে। শুধু তৈরি পোশাক খাত নয়, কোন খাতে ও কোন এলাকায় কত মানুষের কাজ চলে যেতে পারে।

কমেন্ট বক্স
৩২ বছর বয়সে ৮৭ সন্তানের বাবা!

৩২ বছর বয়সে ৮৭ সন্তানের বাবা!