ভারত ড্রোন হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা করতে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বড় পরিসরে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজস্থানের যোধপুরে বিএসএফের ৬০তম প্রতিষ্ঠা দিবসের কুচকাওয়াজে এক ভাষণে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী দিনে ড্রোন হুমকি আরও বাড়তে পারে। তাই এখন থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অমিত শাহ বলেন, সরকারের সমস্ত সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ডিআরডিও এবং বিভিন্ন গবেষণা বিভাগের সমন্বয়ে এই অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে পাঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তে এই ড্রোন সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এটি ড্রোন অনুপ্রবেশের ৫৫ শতাংশ ঠেকাতে সক্ষম, যা আগের ড্রোনবিরোধী সিস্টেমের তুলনায় ৩ শতাংশ উন্নত।
অমিত শাহ আরও বলেন, ড্রোন হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও ব্যাপক আকারে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ সীমান্তের বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি সরকার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সংবেদনশীল এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা (সিআইবিএমএস) চালু করেছে। আসামের ধুবরিতে স্থাপিত পাইলট প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক।
তিনি আরও বলেন, পাইলট প্রকল্পটির আরও উন্নয়ন শেষে সিআইবিএমএস সিস্টেমটি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সীমান্তেও ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ সীমান্তের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন,
- ৫৯১ কিলোমিটার সীমান্তে বেষ্টনী নির্মাণ শেষ হয়েছে।
- ১,১৫৯ কিলোমিটার সীমান্তে ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়েছে।
- ৫৭৩টি সীমান্ত ফাঁড়িসহ ৫৭৯টি পর্যবেক্ষণ পোস্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস