দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল, উত্তর কোরিয়ার প্রভাব প্রতিরোধের জন্য ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন। তবে, এর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের বিরোধী দল এবং জনগণের বিরোধিতার মুখে প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপের পর, রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতা হান ডং-হুন বলেন, প্রেসিডেন্ট ইওল দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এবং বেসামরিক শাসন ধ্বংস করার আশঙ্কা রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার এই ক্ষমা প্রার্থনার পর পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পিছিয়ে দেওয়া হয়, এবং ধারণা করা হচ্ছে যে ক্ষমতাসীন দল তার পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসতে যাচ্ছে।
এদিকে, বিরোধী দল ক্ষমতাসীন দলকে একটি 'দ্বিতীয় অভ্যুত্থান' বা বিদ্রোহ চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, এবং দাবি করেছে যে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োলের সামরিক আইন ঘোষণা অসাংবিধানিক এবং বেআইনি ছিল। ডেমোক্রেটিক পার্টির ফ্লোর লিডার পার্ক চ্যান-ডে, ক্ষমতাসীন দলকে এই ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটি দ্বিতীয় বিদ্রোহ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক আদেশের বিরুদ্ধে ছিল।
Mytv Online