সিরিয়ার কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, এই মরদেহগুলো "নৃশংসভাবে নির্যাতনের" পর হত্যা করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা কারাগারে তল্লাশি চালানোর সময় এই মরদেহগুলো পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে সিরিয়ার সরকারি কারাগারগুলোতে নির্যাতন ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার কারণে ৬৯ জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে। এই নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরোধী ছিলেন এবং তাদের মৃত্যুর কারণ ছিল অমানবিক নির্যাতন।
বাশার আল-আসাদের পতনের পর, সিরীয় নাগরিকরা বিভিন্ন কারাগারে নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজে ভিড় করছে। এমন পরিস্থিতিতে সেদনায়া কারাগার থেকে ১৫টি মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর আরও একটি শোকাবহ অধ্যায় যোগ করল সিরিয়ার ইতিহাসে। সেদনায়া কারাগারটি দামেস্কের উত্তরে অবস্থিত এবং এটি বাশার আল-আসাদ সরকারের শাসনামলে হাজারো সিরীয় নাগরিকের জন্য অন্ধকার এক স্থান হিসেবে পরিচিত।
বাশার আল-আসাদের পতনের পর, কারাগারের শাস্তি প্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দীদের আত্মীয়স্বজনরা খুঁজে পাচ্ছেন তাঁদের প্রিয়জনদের মৃতদেহ, যার মধ্যে সম্প্রতি সিরীয় অধিকারকর্মী মাজেন আল হামাদার মৃতদেহও উদ্ধার হয়েছে।