সিরিয়ায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে দক্ষিণাঞ্চলে একটি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইতোমধ্যেই সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেছেন, "এই অঞ্চলটি সন্ত্রাস দমন ও সংগঠিত সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম ঠেকানোর উদ্দেশ্যে গঠিত হবে। এখানে ইসরায়েলি বাহিনী স্থায়ী অবস্থান নেবে না, তবে অঞ্চলটি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।" তবে তিনি এই পরিকল্পনার বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি।
সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি গভীর রাতে হামলা চালিয়ে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি নৌযান ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৪৮ ঘণ্টায় সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে তারা। রাজধানী দামেস্ক ছাড়াও হোমস, তারতাস এবং পালমিরা শহরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা বিমানঘাঁটি, অস্ত্রাগার, গবেষণাকেন্দ্র এবং সামরিক যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
লন্ডনভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার বহু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর, রাডার, অস্ত্রাগার, এবং সামরিক সিগন্যাল স্টেশন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলাগুলো সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির সামরিক স্থাপনায় পরিচালিত অন্যতম বড় অভিযান। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় এই আক্রমণ ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য।
সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের পর থেকেই দেশটির পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘাত এবং বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ দেশটিকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলো নতুন করে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।