নতুন বছরকে ঘিরে মানুষের স্বাভাবিক কৌতূহল ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবনা সবসময়ই আকর্ষণীয়। এই আলোচনায় বারবার উঠে আসে ১৫ শতকের ফরাসি জ্যোতির্বিদ ও ভবিষ্যৎবক্তা নস্ত্রাদামুসের নাম। তার কাব্যিক ভবিষ্যদ্বাণীগুলো শত শত বছর পরও মানুষের মনে জল্পনা-কল্পনার খোরাক জোগায়।
২০২৫ সাল ঘিরেও তার লেখা বিশ্লেষণ করে কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ ধারণা সামনে এনেছেন গবেষকরা। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে ইউরোপের যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা। মনে করা হচ্ছে, এটি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দিকেই ইঙ্গিত করে। যদিও যুদ্ধ থেমে গেলে আর্থিক সংকট ও সামাজিক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
তবে যুক্তরাজ্যের জন্য ২০২৫ সাল কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নস্ত্রাদামুসের লেখা বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা সেখানে প্লেগের মতো মহামারি ও যুদ্ধের উল্লেখ পেয়েছেন। এটি বর্তমান রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতীক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া, একটি বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসার কথাও উঠে এসেছে ভবিষ্যদ্বাণীতে। এটি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। তবে গ্রহাণু নিয়ে প্রতি বছরই এমন শঙ্কা দেখা দেয় এবং এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিপদ কেটে গেছে।
নস্ত্রাদামুসের পূর্ববর্তী বেশ কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে বলে অনেকেই দাবি করেন। এর মধ্যে হিটলারের উত্থান, টুইন টাওয়ার হামলা এবং করোনা মহামারির মতো ঘটনাগুলো উল্লেখযোগ্য। যদিও এসব ভবিষ্যদ্বাণী কাব্যিক ও রহস্যময়, মানুষ এখনো আগ্রহ নিয়ে তার লেখা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
নতুন বছরে এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো বাস্তবে কতটুকু প্রতিফলিত হবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে। তবু, এসব আলোচনা মানুষের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়ে তোলে এবং ভবিষ্যতের জন্য সচেতন থাকতে উৎসাহিত করে।