রাজধানীতে হঠাৎ করেই শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। ঘনকুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাস নগরজীবনে ঠাণ্ডার কষ্ট বাড়িয়েছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলায় চলছে হাঁড় কাঁপানো শীত। কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না, আর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে শীতের তীব্রতা আগামী চারদিনে আরও বাড়বে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায়, সাধারণত এ সময় সূর্যের আলো দেখা গেলেও আজ ঢাকায় কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল চারদিক। শীতের প্রকোপে নগরবাসী বিপাকে পড়েছেন, বিশেষত স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কেউ চায়ের দোকানে উষ্ণতার খোঁজ করছেন, কেউবা আগুন জ্বালিয়ে হাত-পা গরম করছেন।
বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেলা ১১টা পর্যন্তও কুয়াশায় ঢাকা ছিল নগরীর অনেক এলাকা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দুপুরের আগে সূর্যের দেখা মিলবে না। মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের কারণে উষ্ণতা কমেছে, শীতের অনুভূতিও বেড়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ধারা আরও চার থেকে পাঁচদিন স্থায়ী হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, "শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। আগামী শনি বা রোববার থেকে সারা দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে নিয়মিত কুয়াশা থাকবে।"
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৯৩ শতাংশ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায়, যা ছিল ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের এমন পরিস্থিতি বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এদের অনেকেই বিভিন্নভাবে উষ্ণতা খুঁজছেন।