মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে।
আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও যে যার মতো ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে করে, সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘাটে এসে পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে সীমিতসংখ্যক ফেরি চলাচলের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব যাত্রী। লাশ ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ফেরিতে ওঠার সময়, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রীরাও হুড়োহুড়ি করে লাফিয়ে উঠে পড়ছেন। বাধ্য হয়ে দু-একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ যাত্রীবোঝাই করে ছেড়ে যাচ্ছে ফেরি।
ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা ছেড়ে আসা হাজারো যাত্রী পাটুরিয়ায় এসে ভিড় করছেন। এসব যাত্রী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সাতটি ফেরিতে যাত্রী ও জরুরি যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।
এদিকে, যাত্রীদের স্রোত ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন করা হলেও ঘাট এলাকায় তাদের তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।
বিআইডাব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী পার করার জন্য ছোট দুটি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। এসব গাড়ি পারের সময় যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে ফেরিতে উঠছে। যাত্রীদের সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না’।
শিবালয় থানার ওসি জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যাত্রী পারাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যখন অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি পণ্যবাহী (পচনশীল পণ্য, দুধ, শিশুখাদ্য, ওষুধ) গাড়ি ফেরিতে ওঠানো হয়, তখনই যাত্রীরা ফেরিতে উঠে পড়েন। যাত্রীরা কোন বাধা নিষেধ মানছেন না। ঢাকা থেকে নদীর স্রোতের মতো ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ঘাটে এসে ভিড় করছেন। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে সোমবার সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশি।