২০২০-২১ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য ভেন্যু পাল্টাতে বাধ্য হয়েছিল উয়েফা।
রাশিয়া থেকে ফাইনালের ভেন্যু সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত সপ্তাহে তুরস্ককে ভ্রমণ তালিকায় ‘লাল তালিকা’ভুক্ত করে ইংল্যান্ড।
ফলে আবারও গুঞ্জন উঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের ভেন্যু নিয়ে। তাই বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভেন্যু বদলের সিদ্ধান্তটা জানাল উয়েফা। তুরস্কের ইস্তাম্বুলের পরিবর্তে পর্তুগালের পোর্তোতে বসতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ান্ত লড়াই।
আগামী ২৯ মে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির মধ্যে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার লড়াই। অল ইংলিশ ফাইনালটা হওয়ার কথা ছিল ইস্তাম্বু্লের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে। কিন্তু করোনার কারণে তুরস্কে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে যুক্তরাজ্য সরকারের।
অপরদিকে, করোনার মধ্যে ভ্রমণে নিরাপদ দেশগুলোর তালিকায় পর্তুগালকে রেখেছে ইংল্যান্ড। তাই ফাইনালে ওঠা দুই ক্লাব থেকে ছয় হাজার সমর্থকের পর্তুগালে গিয়ে খেলা দেখার অনুমতি দিয়েছে সংস্থাটিও। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল।
প্রস্তাব ছিল ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এই ফাইনালটি আয়োজনেরও। তবে লন্ডন প্রশাসনের কোয়ারেন্টাইন জটিলতা এড়াতে পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাও স্টেডিয়ামকেই বেছে নিয়েছে উয়েফা। একইসঙ্গে জানিয়েছে, ফাইনালে দুই দলের ৬ হাজার করে সমর্থক উপস্থিত থাকতে পারবেন গ্যালারিতে।
উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফেরিন বলেন, ‘সমর্থকদের ম্যাচটা মাঠে উপস্থিত থেকে দেখতে না দেওয়ার কথা ভাবা হয়নি। আমি আনন্দিত যে সমাধান বের করা গেছে। দীর্ঘ ১২ মাস প্রিয় ক্লাবের খেলা সরাসরি না দেখে থাকতে হয়েছে সমর্থকদের আর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল তো ক্লাব ফুটবলে শীর্ষবিন্দু।’
গত বছরও প্রথমে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল, কিন্তু করোনার কারণে সেটি সরিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
যদিও উয়েফা এতে বড় দুশ্চিন্তার কিছু দেখছে না। তুর্কি ফুটবল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি বুঝতে পারার মানসিকতার জন্য প্রশংসাই করেছে তারা। ভবিষ্যতে যখনই সুযোগ হবে, ইস্তাম্বুলে ম্যাচ আয়োজন করা যাবে, এমন কথাও জানিয়ে রেখেছে উয়েফা।
পর্তুগালে তৃতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম এস্তাদিও দ্রাগাওয়ের আসনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। অন্তত ২০ হাজার ফুটবলপ্রেমী যেন ম্যাচটা স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারেন, সে জন্য পর্তুগাল সরকারের সঙ্গে এখন কথা চালাচালি করছে উয়েফা। এর মধ্যে ফাইনালে ওঠা দুই ক্লাবের ৬ হাজার করে সমর্থক আছেন, যাঁদের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।