ঈদুল ফিতরের তিনদিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। গত বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়, তা শেষ হয় শনিবার। লকডাউনের মধ্যে রোববার থেকে শুরু হয়েছে অফিস, ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজার।
শুক্রবার পালিত হয় ঈদুল ফিতর। সাধারণ নিয়মানুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিনে হিসাব করে ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষকে কর্মস্থলে রাখতে বৃহস্পতিবার থেকে ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
রোববার সকাল থেকে সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় ও বিভাগেই উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যায়। বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই অফিস করছেন না। মন্ত্রণালয়গুলোর জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট দু-একটি শাখা খোলা রয়েছে।
দু-চারজন যারা অফিস করতে এসেছেন তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সহকর্মীদের সঙ্গে।
এদিকে, তিন দিন ছুটির পর দেশের সব ব্যাংক খুলেছে আজ। তবে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের তেমন চাপ নেই বললেই চলে। ব্যাংক কর্মকর্তারা ঈদ–পরবর্তী আনন্দ ভাগাভাগি করে সময় পার করছেন। পুরোনো গ্রাহকেরাও এসে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
করোনাভাইরাসের চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। এর পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করতে ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে গ্রহকদের তেমন চাপ নেই। আর মতিঝিলের শাখায় গ্রাহক থাকলেও খুবই কম। এবারের ঈদে ছুটি না পাওয়ায় কর্মকর্তারা অফিস করছেন। তবে করোনায় রোটেশনের কারণে কেউ কেউ অফিসে নেই। যাঁরা অফিসে এসেছেন তাঁরা গল্পগুজব করে সময় পার করছেন। মতিঝিলে অনেক কর্মকর্তাকে দল বেঁধে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে।
ঈদ শেষে শেয়ারবাজারও খুলেছে রোববার। ঈদের আগে দেখা দেয়া চাঙ্গাভাব ঈদের পরেও দেখা গিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। ঈদের পরের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বড় উত্থান হয়েছে।
এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। ফলে ঈদের আগে ও পরে মিলে টানা সাত কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার।
মূল্য সূচক টানা বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেশ বেড়েছে। রোববার ডিএসইতে লেনদেন ১৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে টানা ১০ কার্যদিবস ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হলো।