গত কয়েক মাস ধরে অবসর ভেঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবি ডি ভিলিয়ার্সের ফিরে আসা নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। অবশেষে সেই গুঞ্জনের অবসান ঘটালো ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)।
সিএসএ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে যে, অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন না ডি ভিলিয়ার্স।
২০১৮ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় খেলছিলেন নিয়মিত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার পরের বছরের বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক নিজেই নাকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ব্যাপারে আগ্রহ দেখান। যদিও ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা তাতে সাড়া দেয়নি। এরপর গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তার ফেরার ব্যাপারে খবর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা স্থগিত হলে পরে এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে দেখার সম্ভাবনা জেগেছিল, যার ইতি টানলো ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের খেলার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেল।
এই বছরের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে আইপিএল খেলেন ডি ভিলিয়ার্স। টুর্নামেন্টের মাঝপথে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ব্যাপারে নাকি আলোচনা করেছিলেন তিনি। তা আর হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে তাঁর ফেরা নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। তবে ইতিবাচক কোনো নতুন খবর জানাতে পারছেনা বোর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে গড়া স্কোয়াড নিয়েই কথা হয়েছে বেশি। তবে বাউচারের সঙ্গে কথা চলাকালে ডি ভিলিয়ার্স জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, ‘গত বছর সে (বাউচার) জানতে চেয়েছিল, আমি আগ্রহী কি না। বলেছিলাম, অবশ্যই।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে ডি ভিলিয়ার্স সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। টেস্টে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখা হয়। এবার করোনা মহামারিতে আইপিএল স্থগিত হওয়ার আগে দারুণ ফর্মে ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ৬ ইনিংসে ১৬৪.২৮ স্ট্রাইকরেটে ২০৭ রান করেছিলেন তিনি।