রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বুধবার সকালে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ‘৪ দশকে মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনাসভা এবং ৪টি হাসপাতালে ৪টি হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলা ও ৪টি অটিস্টিক সংগঠনে শিক্ষাসহায়তা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সেখানে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনার ঘটনায় যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন। তাই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’ সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের প্রতি কোনো অবিচার হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ বিষয়টি সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে এমন ভুলবোঝাবুঝি সৃষ্টি নাও হতে পারতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার একান্ত সচিবের কক্ষে ফাইল থেকে ‘নথি সরানোর অভিযোগে’ তাকে সেখানে আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। নিজের ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগ তোলেন রোজিনা। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়।