ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বা প্রাইভেসি পলিসি নীতি কার্যকরের আগে ব্যবহারকারীদের কয়েক মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। তার শেষ সময়সীমা ছিল ১৫ মে। অবশেষে ১৬ মে থেকে এটি কার্যকর করতে শুরু করেছে ফেসবুকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি।
প্রায় চার মাস আগে দেওয়া তাদের শর্ত ছিল, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতি মেনেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে, নয়তো এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবহারকারীদের বিদায় নিতে হবে।
পরে এই হুঁশিয়ারি থেকে কিছুটা সরে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এখন বলছে, নীতি না মেনেও হোয়াটসঅ্যাপে থাকা যাবে, তবে পাওয়া যাবে না পরিপূর্ণ সুবিধা বা ফিচার।
এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, নোটিফিকেশন ও হোয়াটসঅ্যাপ কলের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা। যেমন: চ্যাট লিস্ট অ্যাকসেস করতে না পারা এবং ভয়েস ও ভিডিও কল রিসিভ করতে না পারা অন্যতম। তবে, হোয়াটসঅ্যাপ পরে আবার তাদের ভয়েস কল বা ভিডিও কল ব্যাক করার অনুমতি দেবে।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট না হলেও, অনেক ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন না ব্যবহারকারীরা। এর ফলে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ না হলেও ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন, যে ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপের বহু ফিচার্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কোম্পানিটি জানায় যে, নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ২০০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী এই নীতিতে সম্মতি দিয়েছেন। ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীরা অবশ্য এই নীতিমালার আওতায় থাকবেন না, কারণ সেখানে গোপনীয়তা নিয়ে ভিন্ন একটি আইন চালু রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত এই নীতিমালা কার্যকরের ফলে ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর, হ্যান্ডসেট মডেল, মোবাইল কম্পানি, আইপি ঠিকানা, ইন্টারনেট সংযোগসহ কিছু তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ সংগ্রহ করতে পারবে এবং এগুলো নিজেদের অধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিনিময় করতে পারবে।