ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরগুনার তিনটি নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধ ভেঙে ও উপচে এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলের বাঁধের বাইরের বাসিন্দাদের ঘর-বাড়িতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আগামীকাল বুধবার আঘাত হানবে। সে সময় ভরা পূর্ণিমা থাকবে। উপকূলের জেলা বরগুনার নদ-নদীতে জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পূর্ণিমার সময় বাড়ে। ভরা পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা পাঁচ থেকে সাত ফুট বৃদ্ধি পায়।
ফলে পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর ভাঙন ও উচ্চ জোয়ারে জেলার ২৯ কিলোমিটার জুড়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ বিলীনের মুখে। বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় উচ্চ জোয়ার, ঝড় বন্যায়ও প্রবল বর্ষণে ভাঙন কবলিত স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয় ঘর বাড়ি ও জমির ফসল নষ্ট হওয়ার অশঙ্কা থাকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার তিনটি পয়েন্টে জোয়ারের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কাইছার আলম বলেন, উচ্চ জোয়ারের চাপে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে যা তাৎক্ষনিকভাবে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় জেলায় ৬৪২টি আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১ কোটি ২১ টাকা নগদ অর্থসহ ৬ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৩৫৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৪ টি মেডিক্যাল টিম ও রেডক্রিসেন্ট, সিপিপি এবং স্থানীয় ৭ হাজার ৫শ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।