দেশে চীনের কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের এই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি হাসপাতালে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ, মুগদা ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা প্রদান করা হবে।
পরীক্ষামূলক টিকা প্রদানের পর টিকা গ্রহণকারীদের সাত থেকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর চীন থেকে পাওয়া উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা আড়াই লাখ মানুষকে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার টিকা দেওয়ার পর তা সপ্তাহখানেক বন্ধ থাকবে। এরপর আবার শুরু হবে। এ টিকা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে চীনের উপহারের এ টিকা ১ হাজার জনকে দেওয়া হবে। এ মুহূর্তে মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির শিক্ষার্থী এবং করোনা রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতদের টিকা দেওয়া হবে।
ডা. মো. নাজমুল ইসলাম আরো বলেন, পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন কাজে অবস্থানরত চীনা নাগরিক ও চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এ টিকার আওতায় আনা হবে। চীন সরকারের উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ টিকায় আড়াই লাখ মানুষকে টিকাদান করা সম্ভব হবে।
গত ১২ মে চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছে। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ১৯ মে রাতে ফোনালাপের সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সিনোফার্মের আরও ছয় লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দেন।