চীনের ভ্যাকসিন আসা মাত্রই অগ্রাধিকারভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ে নির্ধারিত কোনো এজেন্ডা ছিল না। সভার শেষের দিকে আমি নিজেই আলোচনা করেছি। সেটা হলো আমাদের সীমান্ত এলাকায় মৃত্যু এবং আক্রান্ত বাড়ছে। এজন্য কারিগরি কমিটির পরামর্শ মতে, সীমান্তের সাত জেলায় দ্রুতই সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে সব জেলায় কোভিডের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী সেখানে লকডাউন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লকডাউন দিয়ে দেওয়া উচিত, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।
তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের ভ্যাকসিনেশন কঠিন কোনো বিষয় না। ভ্যাকসিন নিয়ম মাফিক সিরিয়ালওয়াইজ দেওয়া হবে। যারা নিবন্ধন করেছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারি, বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
টিকার নিবন্ধন চালুর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, টিকাগুলো হাতে আসলে আবার নিবন্ধন চালু হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, জুন, জুলাই ও আগস্টে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ডোজ চীনা টিকা আসবে। চীনের মতোই রাশিয়ার কাছ থেকে একই পরিমাণ টিকা আসবে। রাশিয়ার কাছে প্রস্তাবনা গেছে, শিগগিরই চুক্তি হবে। আগে টিকা আসবে, উৎপাদনের প্রস্তুতিও চলমান থাকবে। ভারতের কাছে পাওনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনার চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে। পাঁচ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেলে দেশের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লকডাউন না করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওই জেলাগুলোতে আম, লিচুসহ মৌসুমি ফল উৎপাদন হয়েছে। এসব ফল ওইসব অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল। চাষিরা যাতে সেগুলো বাজারজাত করতে পারেন, এই মানবিক চিন্তা থেকেই সেখানে লকডাউন করা হয়নি।