রাজধানীতে মঙ্গলবার সকালে তিন ঘণ্টার টানা ভারী বৃষ্টিতে ঢাকার অনেক সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। আর এই জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীতে তৈরি হয়েছে যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়ে অফিসগামীরা।
ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বনানী, খিলক্ষেত ছাড়াও উত্তরা, কাজীপাড়া, মতিঝিল, মালিবাগ, রাজারবাগ, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, কারওয়ানবাজার, পান্থপথ, তেজগাঁও, মিরপুর-১২, মগবাজার, শান্তিনগর এলাকায় হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
গণপরিবহন ও রিকশা সংকটে অফিস যেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অফিসগামী লোকজন বলেন, বৃষ্টির কারণে আগে আগে ঘর থেকে বের হলেও সঠিক সময়ে অফিস পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির কারণে ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। অনেকে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজে বের হলেও রাস্তায় জটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। ধীরে ধীরে দেশের পূর্বাঞ্চল ও উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়বে। আগামীকালও ঢাকা অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে ।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে, ১০৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া বিভাগটির সীতাকুণ্ডে ৪২, ফেনীতে ৩০ মিলিমিটারসহ প্রায় সব এলাকাতেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট বিভাগের মধ্যে সিলেট শহরে বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার, শ্রীমঙ্গলে ৬ মিলিমিটার।
ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে নেত্রকোনায় ৯৫ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগেও বৃষ্টি হয়েছে।
রংপুর বিভাগে বৃষ্টি তেমন একটা হয়নি। এই অঞ্চলসহ পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাত এখন কমের দিকে রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে ভারী বৃষ্টিপাত বলে। ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিকে বলা হয় মাঝারি বৃষ্টিপাত, আর ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিকে বলে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত।