ইন্টারনেটের বড় একটি অংশ চলে গিয়েছিল অফলাইনে। বিভ্রাট কবলিত সেবার মধ্যে ছিল অ্যামাজন, রেডিট, টুইচের মতো বড় বড় সেবা। শুধু তাই নয়, বিভ্রাট এড়াতে পারেনি যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইট গভ ডট ইউকে সাইটটিও। প্রবেশ করা যায়নি ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান, ফিনাশিয়াল টাইমস এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওয়েবসাইটেও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়,মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরাও মঙ্গলবার বিকেল থেকে এই সমস্যায় পড়েছেন।
পরে প্রায় এক ঘণ্টা পর বিভ্রাট কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে সেবাগুলো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শুধু ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানেই বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল।
জানা যায়, সমস্যা হয়েছিল ‘এজ ক্লাউড’ নামে পরিচিত ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ফাস্টলি’তে। সেবা গ্রহীতা ওয়েবসাইটগুলোকে দ্রুত লোড হতে সহায়তা করে থাকে সেবাটি। এর পাশাপাশি ট্রাফিকের চাপ বেশি থাকলে ডিনায়াল-অফ-সার্ভিস বা ডিডিওএস আক্রমণের হাত থেকেও সাইটকে রক্ষা করে ফাস্টলি। প্রথম সারির অনেক ওয়েবসাইট ফাস্টলির সেবা নিয়ে থাকে।
আক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলো বিভ্রাটের সময় ‘এরর ৫০৩ সার্ভিস আনঅ্যাভেইলেবল’ বার্তা দেখিয়েছে।
ফাস্টলি জানিয়েছে, তারা নিজেদের বৈশ্বিক কনটেন্ট সরবরাহ নেটওয়ার্ক (সিডিএন) এর সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার কিছু সময় আগে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘সিডিএন সেবার কর্মক্ষমতার সম্ভাব্য প্রভাব বর্তমানে খতিয়ে দেখছে’ তারা।