ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে নেতারা যোগ দিয়েছেন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে। সোমবার সম্মেলন শুরুর প্রথম দিন চীনের সামরিক তৎপরতাকে কেন্দ্র করে চীনকে সতর্ক করে দিয়েছে ন্যাটো।
সম্মেলনে ন্যাটোর নেতারা বলেন, চীন পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াচ্ছে এবং রাশিয়ার সাথে দেশটির সামরিক ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলছেন, সামরিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে চীন ন্যাটোর কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে চীনের সাথে কোন ধরণের স্নায়ুযুদ্ধে যেতে চায় না ন্যাটো। মূলত সম্মেলন শুরুর আগে থেকেই চীনকে সতর্ক করে আসছে ন্যাটো।
ন্যাটোকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বেইজিংয়ের বিষয়ে আলোচনা বাদ দিয়ে নিজেদের মধ্যে আরও কার্যকর আলাপ করার তাগিদ দিয়েছে চীন।
এক বিবৃতিতে চীন জানিয়েছে, ন্যাটোর উচিত বেইজিংয়ের সার্বিক উন্নয়নকে যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ করা। একই সঙ্গে চীনের সার্বিক উন্নয়নে ন্যাটোকে ঈর্ষান্বিত না হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
ন্যাটোর মহাসচিব আরো বলেন, চীন বিশ্বশান্তি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। হংকংয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে চীন। বন্দী শিবিরে আটক রাখা হয়েছে সংখ্যালঘু মুসলিমদের। একই সঙ্গে চীন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজ দেশের নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এছাড়া চীন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করে। দক্ষিণ চীন সাগরেও সবাইকে সমান সুযোগ দেয় না চীন। সেইসঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনে আটক কানাডার দুই নাগরিকের মুক্তি দাবি করেছেন জেনস স্টেলটেনবার্গ।
তবে ন্যাটোকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। ন্যাটোকে বেইজিংয়ের বিষয়ে আলোচনা বাদ দিয়ে নিজেদের মধ্যে আরও কার্যকর আলাপ করার তাগিদ দিয়েছে চীন।