করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
শনিবার সকাল থেকে বাংলাবাজার এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। অধিকাংশ ফেরিতে স্বল্পসংখ্যক যানবাহনের পাশাপাশি শত শত যাত্রীকে পার হতে দেখা গেছে। শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের চাপ ছিল তুলনামূলক কম।
করোনা মোকাবিলায় আগামী সোমবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি থাকবে- এমন নির্দেশনা আসার পর রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন নানা পেশার মানুষ।
এদিকে, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কয়েকটি পয়েন্টে ও শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশ মুখে রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। চেকপোস্টে যাত্রী চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মাওয়া নৌ-পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল কবির বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকে পায়ে হেঁটে, অটোরিকশাতে, পণ্যবাহী ছোট-বড় গাড়িতে করে ঘাটে আসছেন। বর্তমানে এ নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। এসব ফেরি জরুরি সেবায় নিয়োজিত পণ্যবাহী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও, ব্যাক্তিগত যানবাহনও পারাপার হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল থেকে ভিড় বেড়েছে। এখন ছোট-বড় গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ শতাধিক যানবাহন রয়েছে পারের অপেক্ষায়।’
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঢাকা থেকে ঘাটে আসছে। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছে।