MYTV Live

জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হলে গ্রেপ্তার করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে চলমান লকডাউনের সময় অকারণে কেউ ঘর থেকে বের হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বিধিনিষেধ সম্পর্কিত নির্দেশনা জানাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ রাস্তায় থাকবে। কোনো যানবাহন বের হলে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলা করা হবে। সংগত কারণ দেখাতে না পারলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হবে। এর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতেও তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এবার পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকবে। পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকবে বলেই আপনারা নিরাপদে থাকবেন। এই ধারায় সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল, অর্থদণ্ড ও উভয়দণ্ড হতে পারে।’

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘হার্ডলাইনে’ থাকবে। এমনও হতে পারে, প্রথম দিনেই গ্রেপ্তার পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সর্বাত্মক লকডাউনে ডিএমপি বিভিন্ন ইউনিটের উপকমিশনাররা বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন।

সর্বাত্মক লকডাউনে শপিং মল, কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেট, দোকানপাট—সব বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজারে এর আগে ভিড় দেখা গেছে। সে কারণে কাঁচাবাজার রাস্তায় এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো হবে। তবে কাঁচাবাজারে কেউ কোনো যন্ত্রচালিত গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন না। প্রয়োজনে রিকশা ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া অলিগলির সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে জানান মোহা. শফিকুল ইসলাম।

গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তাঁরা পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে যন্ত্রচালিত যানবাহনে চলাচল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরে বের হতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোভিড টেস্টের জন্য যেতে হলে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দেখিয়ে যেতে পারবেন। ওষুধের দোকানে ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে যেতে পারবেন, তবে যন্ত্রচালিত যানবাহনে নয়। খাবারের হোটেল খোলা থাকবে, তবে খাবার নিয়ে আসা যাবে, হোটেলে বসে খাওয়া যাবে না।

শফিকুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীরা যন্ত্রচালিত গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন পাসপোর্ট দেখিয়ে। তবে আগত ব্যক্তিকে কেউ আনতে গেলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হবে। পুলিশ আচরণে সন্তুষ্ট হলে তাঁকে ছেড়ে দেবে, না হলে আইনের আওতায় আনবে।

রিকশায় সংক্রমণের ঝুঁকি কম বলে তা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি–প্রধান। তিনি বলেন, মুভমেন্ট পাশের কোনো কার্যকারিতা নেই। এ ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারবে না। শিল্পকারখানার মালিকেরা তাঁদের গাড়িতে চলতে পারবে না, রিকশায় যেতে হবে।

Related Articles

Stay Connected

22,878FansLike
3,802FollowersFollow
20,900SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles