করোনার পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে উত্তর কোরিয়াকে ‘স্পুৎনিক ভি’ টিকা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। তবে কয়েকটি দেশের পর এবার এই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কঠোর অবস্থা জারি করে উত্তর কোরিয়ার সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় সীমান্ত।
এর ফরে প্রতিবেশী ও মিত্র চীনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ছে। দেশটি খাদ্য, সার এবং জ্বালানির জন্য বেইজিংয়ের উপর নির্ভরশীল।
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন স্বীকার করেছেন, উত্তর কোরিয়া ক্রমশই খাদ্য সংকটের দিকে এগোচ্ছে। এ পরিস্থিতিকে দুশ্চিন্তাজনক বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। দেশের অবস্থাকে ৯০ দশকের মারাত্মক দুর্ভিক্ষের সাথে তুলনা করে নাগরিকদের সবচেয়ে খারাপ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। আন্তর্জাতিক বানিজ্যে নিষেধাজ্ঞাগুলো দেশে খাদ্য সরবরাহে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মনে করেন। খাদ্যের সমস্যা সমাধানে কিম জং উন দেশটির সেনাবাহিনীকে সব দোকানে থাকা খাবার ও খাদ্য উপকরণ নাগরিকদের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ‘আমরা এর আগেও উত্তর কোরিয়াকে টিকা দিতে চেয়েছিলাম। আমরা জানি, উত্তর কোরিয়া এখন বেশ সংকটে রয়েছে। তবে এই সংকটটি কত বড় তা জানা যাবে আগামী কয়েক মাসের পরিস্থিতির উপরে।’
তিনি আরো বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যতো টিকা চাইবে, আমরা তা সরবরাহ করতে প্রস্তুত।’
জাতিসংঘ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার টন খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এবং তারা কঠিন সময় পার করছেন।
সংকট মোকাবিলার একমাত্র উপায় হতে পারে করোনা টিকা। তাহলেই তারা সীমান্ত উম্মুক্তের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করতে পারবে।
তবে উত্তর কোরিয়া বলছে তাদের দেশে কোনো করোনাভাইরাস নেই। তাদের এমন দাবিকে বিশেষজ্ঞরা সন্দেহজনক মনে করছেন।