অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। আর ওজন বেড়ে গেলে ব্যায়াম করার জন্য বিভিন্ন জিমের খোঁজ করা হয় অথবা বাসায়ই নিজস্ব পদ্ধতিতে চলে শরীরচর্চার চেষ্টা। আবার অনেকেই শরীরচর্চা করার সময় পান না। তাই ব্যায়াম না করে কীভাবে ওজন কমানো যায়, সে উপায় খুঁজতে থাকেন তারা।
শরীরচর্চা ব্যতীত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ, সঠিক পরিমাণে পানি পান করা ইত্যাদি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
তবে নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট হাঁটলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমে।
শরীরচর্চা না করেও ওজন কমানোর উপায়:
নিজের খাবার নিজেই রান্না করা: চেষ্টা করুন প্রতি বেলার খাবার নিজেই তৈরি করার। এর ফলে খরচও কমবে পাশাপাশি খাবরটি স্বাস্থ্যসম্মতও হবে।
ক্ষুধা লাগলেই অনেকে বাইরের খাবার খেয়ে পেট ভরান। এর ফলে ওজন বেড়ে যায়। কারণ বাইরে থেকে কেনা খাবারে তেল, লবণ, চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। অন্যদিকে ঘরে তৈরি খাবার সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
মনযোগ সহকারে এবং আস্তে খাবার খাওয়া: খাবার দ্রুত খেলে ওজন বেড়ে যায়। কারণ খাবার খাওয়ার অনেকক্ষণ পর মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছায়। তাই আস্তে আস্তে খাবার খেলে কম খাওয়া হয়।
পুষ্টিবিদরাও বলেন, ওজন কমাতে হলে খাবার আস্তে আস্তে ও মনোযোগ সহকারে খেতে হবে। এর ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমবে। পাশাপাশি খাবার একাধিকবার চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয়।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: ক্ষুধা মেটাতে যেকোনো খাবার খেলেই হবে না। শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অস্বাস্থ্যকর তৈলাক্ত খাবার ও প্যাকেটজাত খাবার পরিহার করতে পারলে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব।
মৌসুমী ফল ও শাক-সবজি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখার পাশাপাশি মাছ, মাংস খেতে হবে। তবেই ফিট থাকা সম্ভব।
কম স্ট্রেস নেওয়া: ওজন কমাতে হলে মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। স্ট্রেসের কারণে ঘুম কম হয়ে থাকে। আর ঘুম কম হলে ওজন কমানো সম্ভব নয়।
ফলে ওজন আরও বাড়তে থাকে। স্ট্রেসে শরীরে হরমোন ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভিটামিন ডি গ্রহণ ও হাইড্রেট থাকা: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে হাইড্রেট থাকা যায়। শুধু সুস্বাস্থ্য রক্ষায় নয় ত্বক ও চুল ভালো রাখতেও শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
পাশাপাশি ভিটামিন ডি সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। এজন্য নিয়মিত সকালের রোদ গায়ে মাখতে হবে। ভিটামিন ডি আছে এমন খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।
স্ন্যাকসে পুষ্টিকর খাবার রাখা: ক্ষুধা লাগলেই এটা সেটা না খেয়ে, স্ন্যাকস হিসেবে একটি ফল রাখুন। এতে ক্ষুধাও কমবে আর শরীরও পুষ্টি পাবে। প্রতিদিনের নাস্তায় এক মুঠো বাদাম বা ফল রাখুন। এতে ওজন দ্রুত কমবে।
মেডিটেশন করা: মানসিকভাবে প্রশান্তি মেলে মেডিটেশন করলে। সেইসঙ্গে শাররীরিক বিভিন্ন সমস্যাও কমতে থাকে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে ঘুম ভালো হয়। এর ফলে ওজন কমতে থাকে ধীরে ধীরে। তাই দৈনিক নিয়ম করে অন্তত ১৫-২০ মিনিট মেডিটেশন করতে হবে।